মঙ্গলগ্রহের নতুন অতিথি ‘ইনসাইট’
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার মহাকাশযান ‘ইনসাইট’ সোমবার মঙ্গলগ্রহে পৌঁছেছে৷ এই নিয়ে অষ্টমবারের মতো মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করলো নাসা৷
নাম ‘ইনসাইট’
মঙ্গলগ্রহে যে মহাকাশযানটি গেছে তা দেখতে এরকম৷ নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরিতে ইনসাইটের এই মডেলটি রাখা আছে৷ ৩৬০ কেজি ওজনের এই মহাকাশযানের ছয় ফুট লম্বা একটি হাত আছে৷ এর আগে ২০১২ সালে ‘কিউরিওসিটি’ নামে নাসার একটি রোভার মঙ্গলে গিয়েছিল৷
আনন্দের মুহূর্ত
আহ্! ছয় মাসের টেনশন থেকে মুক্তি৷ ইনসাইটের মঙ্গলের মাটি ছোঁয়ার খবর এইমাত্র পেলেন নাসার কর্মকর্তারা৷ ঘণ্টায় প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটে চলেছিল ইনসাইট৷ পাড়ি দিয়েছে ৪৮২ মিলিয়ন কিলোমিটার পথ৷ দূরত্বের কারণে ইনসাইটের মঙ্গলে পৌঁছার খবর পৃথিবীতে পৌঁছতে সময় লেগেছে আট মিনিট৷
ইনসাইটের কাজ
প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের ইনসাইট প্রকল্পের কাজ শুরু হয় প্রায় সাত বছর আগে৷ মঙ্গলের যেখানে ইনসাইট ল্যান্ড করেছে, সেখানেই আগামী দুই বছর থাকবে সেটি৷ এই দু’বছরে মঙ্গলগ্রহে ভূকম্পন ও তাপমাত্রা পরিমাপ করবে ইনসাইট৷ এর মাধ্যমে মঙ্গলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন গবেষকরা৷ অবশ্য জীবন্ত কোনো কিছু সম্পর্কে তথ্য জোগাড়ের সামর্থ্য নেই ইনসাইটের৷
প্রথম ছবি
মঙ্গলে পৌঁছানোর মাত্র সাড়ে চার মিনিটের মধ্যেই সেখানকার প্রথম ছবি পাঠিয়েছে ইনসাইট৷ তবে তখনও ল্যান্ডিংয়ের সময় ওড়া ধুলোতে ক্যামেরা আচ্ছন্ন থাকায় ছবি একটু অস্পষ্ট মনে হচ্ছে৷
আন্তর্জাতিক প্রকল্প
মার্কিন সংস্থা নাসার এই মহাকাশযানে থাকা বিভিন্ন অংশ তৈরি করেছে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, পোল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড৷ যেমন ভূকম্পন মাপার যন্ত্রটি তৈরি করেছে ফ্রান্স৷ আর তাপমাত্রা পরিমাপের যন্ত্রটি বানিয়েছে জার্মানি৷
মানুষ কবে যাবে?
একের পর এক রোভার, অর্বিটার, প্রোব, মহাকাশযান পাঠিয়ে নাসা মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে৷ এসবের উদ্দেশ্য একসময় মঙ্গলে মানুষ পাঠানো৷ ত্রিশের দশকের মাঝামাঝি সেটি সম্ভব হতে পারে বলে আশা করছেন নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রিডেনস্টাইন৷