1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মগবাজার বিস্ফোরণের কারণ খুঁজতে তদন্ত কমিটি

২৮ জুন ২০২১

মগবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ তারা কাজ শুরু করেছে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স৷

https://p.dw.com/p/3vfY2
মগবাজারে ভবনে বিস্ফোরণে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে,আহত অন্তত চারশ মানুষছবি: bdnews24.com

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন জানিয়েছেন তদন্ত কমিটি সোমবার সকাল থেকে কাজ শুরু করছে ৷  

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান৷ এই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে''

সোমবার সকালে কমিটির প্রধান জিল্লুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "আমরা জরুরি মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলব৷''

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ঢাকার মগবাজার ওয়্যারলেস গেইট এলাকা কেঁপে ওঠে ৷ বিস্ফোরণের ধাক্কায় আড়ং, বিশাল সেন্টারসহ আশপাশের ডজনখানেক ভবনের কাচ ভেঙে পড়ে৷  আড়ংয়ের উল্টো দিকে আউটার সার্কুলার রোডের ৭৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের তিনতলা ভবনটির প্রায় ধসে পড়ার দশা হয়েছে৷

ওই ভবনের দোতলায় সিঙ্গারের বিক্রয় কেন্দ্র, নিচতলায় খাবারের দোকান শরমা হাউজ ও বেঙ্গল মিটের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল, যা মিশে গেছে৷ লোহার গ্রিল, আসবাবপত্র, ভবনের বিভিন্ন অংশ ছিটকে এসেছে রাস্তায়৷ সড়কের উপর আটকে থাকা দুটি ক্ষতিগ্রস্ত বাসের ভেতরে যাত্রীদের রক্ত আর জিনসপত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়৷

ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাতজনের মৃত্যুর কথা সাংবাদিকদের জানান৷ ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে অন্তত চারশ মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন রাস্তায়; বিস্ফোরণের ধাক্কায় এবং কাচের টুকরো লেগে তারা আহত হন৷ 

শর্মা হাউজে গ্যাস সিলিন্ডার ছাড়াও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছিল৷ বেঙ্গল মিটেও ব্যবহৃত হত কমপ্রেসার মেশিন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র৷ দোতালায় সিঙ্গারের শোরুম ও গোডাউনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ছাড়াও বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ছিল৷

দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে গ্যাস জমেই ভয়াবহ এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন৷

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন রাতে সাংবাদিকদের বলেন, গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন৷ তবে তদন্তের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে৷ এর পেছনে নাশকতার কোনো বিষয় ছিল বলে মনে করছেন না ঢাকার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম৷

বিস্ফোরণে ক্ষাতিগ্রস্ত ভবনটির আশপাশের ভবন ছাড়াও বিপরীত দিকে রাশমনো হাসপাতাল, আড়ং, নজরুল শিক্ষালয়, ডম-ইনো ভবন, বিশাল সেন্টারের কোনো কাচ অক্ষত থাকেনি৷ ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনের নিরাপত্তাকর্মী আফজাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,মগবাজার এলাকা এমনিতেই ব্যস্ত থাকে, সোমবার থেকে লকডাউনের কড়াকড়ি বাড়ার ঘোষণা থাকায় রোববার সন্ধ্যয় ওই রাস্তায় আরও বেশি ভিড় ছিল৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য