1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভয়ে আছেন জার্মানির মুসলমানরা

২৫ জুলাই ২০১৯

জুলাই মাসে জার্মানির চারটি শহরের মসজিদে বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে৷ শেষ পর্যন্ত সেগুলো ভুয়া প্রমাণিত হলেও মুসলমানদের মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে৷ ফলে তাঁরা সরকারের কাছে আরও বেশি নিরাপত্তা চাইছেন৷

https://p.dw.com/p/3MhNW
Frauen beten in der Sehitlik-Moschee in Berlin
ছবি: Getty Images/O. Messinger

কোলনে অবস্থিত জার্মানির সবচেয়ে বড় মসজিদও হুমকি পাওয়ার তালিকায় ছিল৷ কোলন ছাড়াও ইজালন, ফিলিঙ্গেন-স্ভেনিঙ্গেন ও মিউনিখের মসজিদে হুমকি দেয়া হয়েছিল৷ এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ডুইসবুর্গ, মানহাইম ও মাইনৎস শহরের মসজিদেও বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়৷

এসব ঘটনায় মুসলমানরা ‘খুবই উদ্বিগ্ন' বলে ডয়চে ভেলেকে জানান জার্মানির সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ মুসলিমসের মুখপাত্র নুরহাত সয়কান৷ এই অবস্থায় ‘মুসলমানদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা সরকারের দায়িত্ব' বলে মনে করেন তিনি৷

সয়কান বলেন, সব ধর্মের মানুষ যেন নির্ভয়ে তাঁদের ধর্মপালন করতে পারেন, তা জার্মান সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে৷ ‘‘আমাদের অস্তিত্ব যেমন ঝুঁকির মুখে, তেমনি আমাদের গণতন্ত্রও৷ এটা গ্রহণযোগ্য নয়,'' বলেন তিনি৷

সয়কান জানান, মসজিদে নিরাপত্তা বাড়াতে সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে৷ তবে সরকার এখনও কিছু করেনি৷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেবে ২০১৭ সালে জার্মানির ২৩৯টি মসজিদে হামলা হয়েছিল৷ এই সময়ে এক হাজার ৭৫টি ইসলামোফোবিক অপরাধের (ইসলাম ধর্ম নিয়ে ভয়, ঘৃণা ইত্যাদি কারণে করা অপরাধ) ঘটনাও ঘটে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়৷২০১৮ সালের তথ্য এখনও প্রকাশিত হয়নি৷ তবে বাম দলের অনুরোধে প্রকাশ করা তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের প্রথম নয় মাসে ইসলামোফোবিক হামলায় ৪০ ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন৷ আগের বছর একই সময়ে সংখ্যাটি ছিল ২৭৷

 

সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ মুসলিমসের চেয়ারম্যান আইমান মাজায়েক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ২০১৭ সাল থেকে মুসলমানদের উপর হামলার তথ্য রেকর্ড করা হচ্ছে৷ তখন থেকে হামলার সংখ্যা বাড়ছে৷ শারীরিকভাবে মুসলমানদের আঘাত করা হচ্ছে৷ এই আঘাত দিন দিন আরও বেশি সহিংস হয়ে উঠছে৷

তিনি বলেন, হামলার সংখ্যা আরও বেশি হবে, কারণ অনেক মুসলমান এসব ঘটনা পুলিশকে জানান না৷

ডানিয়েল হাইনরিশ/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য