1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভয়াল কালরাতের কথা স্মরণ করছে বাংলাদেশ

২৫ মার্চ ২০১১

আজ ভয়াল ২৫শে মার্চ৷ ১৯৭১ সালের এইদিন মধ্যরাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এদেশের নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালির ওপর৷ শুরু করেছিল গণহত্যা৷

https://p.dw.com/p/10hRp
হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার সামান্য নমুনাছবি: Dhaka National Archives

তারা আক্রমণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও পিলখানায় তখনকার ইপিআর সদর দফতরে৷ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে৷ তবে তার আগেই ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন৷ আক্রান্ত বাঙালি জাতি এরপরই শুরু করে প্রতিরোধ সংগ্রাম৷ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ৷

‘অপারেশন সার্চলাইট' নামের মধ্যরাতের ওই আক্রমণের বিভীষিকা আজও মুছে যায়নি প্রত্যক্ষদর্শীদের স্মৃতি থেকে৷ ওই এক রাতেই কমপক্ষে ৫০ হাজার নিরস্ত্র বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছিল৷ তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২টি ছাত্রাবাস – জগন্নাথ হল এবং জহুরুল হক হলেও হামলা চালায়৷ হামলা চালিয়ে নির্বিচারে হত্যা করে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মচারীদের৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের মধুসূদন দে যিনি মধু দা নামে পরিচিত তিনি সপরিবারে থাকতেন জগন্নাথ হলের পাশের একটি কোয়র্টারে৷ তার ছেলে অরুণ কুমার দের বয়স তখন ১৪ কি ১৫ বছর৷ তিনি আজও বেঁচে আছেন সেই ভয়ংকর স্মৃতি নিয়ে৷ ডয়চে ভেলেকে জানান সেই ভয়াল রাতের কথা৷

Liberation War Museum
মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরছবি: Gerhard Klas

২৬শে মার্চ সকালেও চলে গণহত্যা৷ সকালে ছাত্র শিক্ষকদের জগন্নাথ হলের মাঠে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফয়ারে হত্যা করে৷ হত্যা করা হয় জেসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতাসহ আরো অনেক শিক্ষকে৷ মধু দা ও তার পরিবারের সদস্যদেরও হত্যা করে তারা৷

অরুণ কুমার দে জানান এরপরও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিয়মিত টহল দিত৷ তাদের পরিবারের যারা বেঁচে ছিলেন পরে তারা সুযোগ বুঝে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে চলে যান৷ ফিরে আসেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পর৷ ফিরে এসে অনেক পরিচিত মুখকেই আর পাননি৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান