1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে হত্যাকাণ্ড

৫ জুলাই ২০১২

জার্মানির কার্লরুয়ে শহরে এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ৷ নিহত ৫ জন৷ তদন্তের মাধ্যমে রহস্যের সমাধানে ব্যস্ত পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/15RbB
ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমের শান্ত শহর কার্লসরুয়ে৷ বুধবারও দিনটা শুরু হয়েছিল স্বাভাবিক ছন্দে৷ আদালতের নির্দেশে শহরের উত্তরে একটি বাড়ি খালি করাতে গিয়েছিলেন বিচার বিভাগের এক কর্মী৷ সেখানে এক পরিবারের বসবাস৷ কর্মহীন গৃহকর্তার বয়স ৫৩৷ তিনি ফরাসি নাগরিক৷ সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী৷ প্রতিবেশীদের সঙ্গে এই পরিবার মোটেই মেলামেশা করতো না৷

বাসাভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই বাড়ি খালি করতে হবে৷ কিন্তু গৃহকর্তা নির্দেশ মানতে প্রস্তুত নন৷ চার জনকে জিম্মি করে হুমকি দিতে শুরু করলেন৷ শুধু তাই নয়, তাদের মধ্যে তিন জনকে প্রথমে বেঁধে তারপর মাথায় গুলি করে হত্যা করলেন৷ তারপর নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা৷ তার আগেই স্ত্রীকে হত্যা করেছেন৷ ফলে ঘটনায় নিহত পাঁচ জন৷ গৃহকর্তা ও তাঁর স্ত্রী ছাড়াও বিচার বিভাগের কর্মী, বাড়ির নতুন মালিক ও চাবি কোম্পানির এক কর্মী৷ এক জন জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন৷ তিনি এক সামাজিক কর্মী৷

Deutschland Geiselnahme in Karlsruhe
ঘটনাস্থলে পুলিশের তৎপরতাছবি: picture-alliance/dpa

এমন এক মর্মান্তিক ঘটনার খবর জেনে স্তব্ধ গোটা দেশ৷ জার্মানির দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় হিংসার বহিপ্রকাশ সহজে দেখা যায় না৷ ঘরে অস্ত্র রাখার রীতিও নেই৷ বড়জোর কথা কাটাকাটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে উত্তেজনার ঘটনা৷

বুধবারের পণবন্দি নাটকের খবর পেয়ে কমান্ডো বাহিনী বাড়িতে প্রবেশ না করলে হয়তো হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারতো৷ প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে তুলে এখন মূল ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে৷ শুক্রবার মৃতদেহগুলির ময়না তদন্ত হবার কথা৷ তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, গৃহকর্তা এক দিন আগেই তাঁর স্ত্রীকে বুকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন৷ প্রতিবেশীরা গুলি চালানোর মতো একটা শব্দ শুনেছিল৷ তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়ায় কেউ পুলিশে খবর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে নি৷

ঘটনার সময় গৃহকর্তা আদৌ বা কতটা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন, ময়না তদন্তে সেবিষয়েও জানা যাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ কারণ তাকে বিয়ার খেতে দেখা গিয়েছিল বলে জানা গেছে৷ তবে তার কাছে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র এলো কীভাবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ তার কাছে ছিল লম্বা ম্যাগাজিন সহ এক বিশেষ অস্ত্র, দুটি পিস্তল, বিশাল সংখ্যায় কার্তুজ এবং পরীক্ষামূলক একটি গ্রেনেড৷ পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, যে তিনি ফ্রান্সে কোনো শিকারি সমিতির সদস্য ছিলেন কি না৷ সেক্ষেত্রে আইনি পথে অস্ত্র কেনার সুযোগ থাকতে পারে৷ ফ্রান্সের পুলিশের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ সীমান্তে দুই দেশের যৌথ পুলিশ কেন্দ্র তদন্ত শুরু করে দিয়েছে৷

এসবি / ডিজি (ডিএপিডি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য