1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভোটের আগেই ভোট অ্যামেরিকায়

২৬ অক্টোবর ২০২০

রেকর্ড সংখ্যক আগাম ভোট পড়ছে অ্যামেরিকায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ফ্লোরিডায় নিজের ভোট দিয়ে এসেছেন।

https://p.dw.com/p/3kQlT
ছবি: picture-alliance/AP Photo/St. Louis Post-Dispatch/J. B. Forbes

করোনা-কালে ভোটর আগেই ভোট দেয়া পছন্দ করছেন অ্যামেরিকার নাগরিকরা। শনিবার রাত পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পাঁচ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ভোট দিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে ফ্লোরিডা এবং টেক্সাসের ভোটারের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। পোস্টে অথবা কেন্দ্রে গিয়ে অধিকাংশ মানুষ আগাম ভোট দিয়ে এসেছেন।

আগামী ৩ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচন। ওই দিনই বুথে গিয়ে মার্কিন জনগণের ভোট দেওয়ার কথা। তবে দীর্ঘ দিন ধরেই অ্যামেরিকায় আগাম ভোট দেওয়ার সুযোগ আছে। মূলত পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে মার্কিন জনগণ আগাম ভোট দিতে পারেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় আগাম ভোট দেয়ার কেন্দ্র তৈরি করা হয়। সেখানে গিয়েও ভোট দিয়ে আসা যায়। করোনা-কালে অ্যামেরিকার প্রতিটি রাজ্যেই আগাম ভোটের সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। ৩ নভেম্বর ভোটের লাইন এড়াতে বহু মানুষ আগেই ভোট দিয়ে আসছেন সেখানে। বস্তুত, গত শনিবার ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও আগাম ভোট দিয়ে এসেছেন।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যত দিন যাচ্ছে, আগাম ভোট দেওয়ার প্রবণতা তত বাড়ছে। গত দুই দশকে আগাম ভোটের পরিমাণ প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে। তবে করোনা-কালে আগাম ভোটের সংখ্যা রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোটের এখনো এক সপ্তাহ বাকি, এখনই ২০১৬ সালের আগাম ভোটের রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে।

আগাম ভোট এবং পোস্টাল ব্যালট নিয়ে অবশ্য বহু দিন থেকেই বিতর্ক শুরু করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, এর ফলে কারচুপির যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। প্রথম প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কেও এ প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকী, দাবি করেছিলেন, আগাম ভোট এবং পোস্টাল ভোট বেশি পড়লে ভোটের ফলাফল নাও মানতে পারেন তিনি। যদিও তিনি নিজেই আগাম ভোট দিয়ে এসেছেন।

আগাম ভোটের পরিসংখ্যান দেখে মার্কিন নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এ বছর রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়তে পারে। বিভিন্ন রাজ্যে যে পরিমাণ আগাম ভোট পড়ছে, তা ২০১৬ সালের মোট ভোটের ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (এপি, এএফপি)