ভেলুপিলাই প্রভাকরণ নিহত, দাবি শ্রীলংকার
১৮ মে ২০০৯টেলিভিশনে বলা হয় যে, তামিল বিদ্রোহী নেতা ভেলুপিলাই প্রভাকরণকে হত্যা করা হয়েছে৷
শ্রীলংকা সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ফনসেকা শ্রীলংকার টেলিভিশনে তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে চূডান্ত বিজয়ের কথা ঘোষণার পর বলেন যে, তামিল বিদ্রোহীদের চরম পরাজয় ঘটেছে৷ তিনি বলেন যে, গোটা দেশ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে এখন সম্পুর্ণ মুক্ত ৷ প্রেসিডেন্ট যে দায়িত্ব আমাদের দিয়েছিলেন তা আমরা পূরণ করেছি অর্থাৎ তামিল বিদ্রোহীদের কবল থেকে আমরা দেশকে মুক্ত করেছি৷
শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে বলেন, অনেকে মনে করেছিলেন আমরা তামিলদের বিরুদ্ধে সামরিক বিজয় লাভে সক্ষম হব না৷ কিন্তু গর্বের সঙ্গে আমি ঘোষণা করছি যে, আমার সরকার গোটা সামরিক বাহিনীর অভিযানে তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অবশেষে জয়লাভ করেছে৷ দেশটি তামিল বিদ্রোহীদের অপকান্ড থেকে মুক্ত হয়েছে৷ এই মুক্তি আসলো দীর্ঘ তিন দশক পর৷ আমার সরকার এবং সংগঠিত মানবিক অভিযানের ফলে প্রায় সকল বেসামরিক নাগরিক মুক্ত হয়েছে বিদ্রোহীদের হাত থেকে-যারা তাদের শিল্ড হিসেবে ব্যবহার করেছে৷
এদিকে, শ্রীলংকার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, তামিল বিদ্রোহী নেতা ভেলুপিলাই প্রভাকরণকে হত্যা করা হয়েছে৷ তাঁর সাথে তাঁর দুজন ডেপুটিকেও হত্যা করা হয়েছে৷ তাঁরা একটি গাড়িতে করে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন৷ কিন্তু তাঁদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷
শ্রীলংকা সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ফনসেকা টেলিভিশনে বলেন, তাঁর সৈন্যরা দেশের উত্তরাঞ্চলের যুদ্ধাঞ্চল মুক্ত করেছে সম্পূর্ণরুপে৷ এ কাজে তারা শেষ দুশ পঞ্চাশ জন তামিল যোদ্ধাকে হত্যা করেছে৷
তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অবসানের কথা ঘোষিত হওয়ার মধ্য দিয়েই শেষ হল এশিয়ার সবচেয়ে বেশি দিন স্থায়ী এবং বর্বরোচিত জাতিগত সংঘর্ষের -যাতে নিহত হয় সত্তর হাজারেরও বেশি মানুষ৷
তামিল বিদ্রোহীরা তাদের জন্য একটি পৃথক আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে আসছিল ১৯৭২ সাল থেকে৷
প্রতিবেদক: আবদুস সাত্তার, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক