ভেনিসে ধরা পড়লো ‘সারা বিশ্বের ভবিষ্যৎ’
৯ই মে সাড়ম্বরে দ্বার খুললো ৫৬তম ভেনিস আন্তর্জাতিক চিত্রকলা প্রদর্শনী বিয়েনালে৷ চলবে ২২শে নভেম্বর পর্যন্ত৷ বিশ্বের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্মের প্রদর্শনী এই বিয়েনালে, যার এ বছরের শিরোনাম ‘সারা বিশ্বের ভবিষ্যৎ’৷
‘অকুপেশন/ডিসকাভারিস’
দেখে মনে হতে পারে ভাঙা দেয়াল, কিন্তু আসলে এটি একটি ‘ইনস্টলেশন আর্ট’৷ বাংলায় অনুবাদ করলে ব্রাজিলীয় শিল্পী আন্টোনিয়ো মানুয়েলের এই ইনস্টলেশন শিল্পের নাম ‘জীবিকা/আবিষ্কার’৷ ক্যামেরা হাতে এক দর্শনার্থী সেই শিল্পবস্তুটির মধ্যেই প্রবেশ করছেন৷ তবে শুধু মানুয়েল নন, এবারের ভেনিস বিয়েনালেতে ৮৯টি দেশের অসংখ্য শিল্পী উপস্থিত তাঁদের নানা ধরনের কাজ নিয়ে৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই এবারের প্রদর্শনীতে রয়েছে আগামীর ছোঁয়া৷
‘দ্য কি ইন দ্য হ্যান্ড’
প্রাচীন কিন্তু উত্তম৷ এই আইডিয়া থেকেই ইটালির ভেনিসে শিল্পকলার প্রদর্শনী বিয়েনালের যাত্রা শুরু ১৮৯৫ সালের ৩০শে এপ্রিল৷ আর আজ সেই ভেনিস বিয়েনালের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে৷ এ বছর ‘চাবিগুচ্ছ’ – এই শিল্পকর্মটি নিয়ে জাপানি প্যাভিলিয়নে রয়েছেন জাপানি শিল্পী চিহারু শিওতা৷ ওসাকায় জন্মগ্রহণ করলেও আজকাল তিনি বার্লিনে থাকেন৷
হলুদ সাগর
দূর থেকে দেখলে ভুট্টার ক্ষেত মনে হতে পারে, অথবা শরীর পরিষ্কার করার ছোবড়া দিয়ে তৈরি একটা কার্পেট৷ ইটালির শিল্পী মারসিয়া মিলিওরার সৃষ্টি এটি৷ নাম – ‘সি অফ ইয়েলো’৷ শোনা যায় এই শিল্পকর্মটি নাকি ভেনিস আন্তর্জাতিক চিত্রকলা প্রদর্শনী বিয়েনালের এ বছরের ‘কিউরেটর’ নাইজেরিয়ার প্রখ্যাত লেখক এবং শিল্প সমালোচক ওকুয়ি এনভেসরের খুব প্রিয়৷
সাদা-কালো
ভেনিস বিয়েনালেতে আর এক ইটালীয় শিল্পীর শিল্পকর্ম আবারো সবার নজর কেড়েছে৷ শিল্পবস্তুটির নাম ‘ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’৷ আর শিল্পীর – মিমো পালাদিনো৷ তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ভেনিস বিয়েনালেতে অংশগ্রহণ করছেন৷ ‘বিয়েনালে’ কথাটির অর্থ প্রতি দু’বছর৷ অর্থাৎ প্রতি দু’বছর অন্তর অন্তর স্থপতি ও চিত্রকর মিমোর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে এখানে৷
ভেনিসে জার্মান শিল্প
ভেনিসে জার্মানির জন্যও একটি আলাদা প্যাভিলিয়ন আছে৷ আর সেই প্যাভিলয়নে এবার নজর কেড়েছে হিটো স্টায়ার্ল৷ তাঁর ‘ইনস্টলেশন আর্ট’ বা শিল্পবস্তুর নাম ‘ফ্যাক্টরি ইন দ্য সান, ২০১৫’ বা সূর্যের কারখানা৷ বার্লিনের শিল্পকলা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এই প্রফেসারের জন্ম মিউনিখ শহরে৷ তিনি আদতে অবশ্য একজন তথ্যচিত্র নির্মাতা৷