1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভূমিকম্প, সুনামি ও পরমাণু কেন্দ্রে বিস্ফোরণ- সর্ববৃহৎ দুর্যোগে জাপান

১৩ মার্চ ২০১১

সুনামির সতর্ক সংকেত তুলে ফেলেছে জাপান৷ কিন্তু সেই ভয়াবহ ছোবলের চিহ্ন কী তুলে ফেলা সম্ভব হয়েছে? তা হয়তো নয়৷ কেননা মনে করা হচ্ছে সমুদ্রে ভূমিকম্প এবং এর ফলে সৃষ্ট সুনামির আঘাতে লন্ডভন্ড জাপানে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10YRg
ছবি: AP

উপকূলীয় মিয়াজি শহরে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার হতে পারে-এমন কথাও জানাচ্ছে বিভিন্ন বার্তা সংস্থা৷ সমুদ্র উপকূলীয় অন্যান্য শহরের অবস্থাও তথৈবচ৷ এ অবস্থায় সেখানে আবারও সেখানে ভূমিকম্প পরবর্তী আঘাত, মানে আবারো ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে৷

ওদিকে, ফুকুশিমায় দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ হতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে৷ ঐ চুল্লির কুলিং সিস্টেম বিকল হয়ে পড়েছে এবং ফলে সম্ভাব্য বিস্ফোরণের ঝুঁকি রয়েছে৷ জাপানের পারমাণবিক কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ সংস্থা টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার বা টেপকোর এক মুখপাত্র আজ বলেছেন, ‘ফুকুশিমা-এক নং পারমাণবিক কেন্দ্রের তিন নম্বর চুল্লির কুলিং ওয়াটার লেভেল ঠিক রাখতে সব কার্যক্রম ব্যর্থ হয়েছে৷'

শনিবার ফুকুশিমার এক নম্বর পরমাণু কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটে৷ ইতিমধ্যে পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয়তার ব্যাপক বিকিরণের আশঙ্কায় কেন্দ্রের আশেপাশের ২০ কিলোমিটার এলাকা থেকে স্থানীয়দের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

Japan Radioaktivität NO FLASH
মানুষের শরীরে তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব মাপা হচ্ছেছবি: AP

জাতিসংঘের আণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, ফুকুশিমা-এক ও ফুকুশিমা-দুই পারমাণবিক কেন্দ্রের চারপাশ থেকে এ পর্যন্ত ২ লাখ লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ উল্লেখ্য, টোকিও'র প্রায় ২'শ কিলোমিটার উত্তরে এই পারমাণবিক কেন্দ্র দুটি অবস্থিত৷ এর মধ্যে ফুকুশিমা-১ পারমাণবিক কেন্দ্রে ৬টি চুল্লি ও ফুকুশিমা-২ কেন্দ্রে ৪টি চুল্লি রয়েছে৷ এদিকে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান বলেছেন, ভূমিকম্প, সুনামি এবং পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ- এই তিন কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান এখন সবচেয়ে দুর্যোগ এবং বিপদের মধ্যে নিপতিত হয়েছে৷ তিনি জানিয়েছেন, পরমাণু কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয়তা যেন অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷

এই অবস্থায় বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ জাপানের উপর নেতিবাচক প্রভাব যে প্রগাঢ় হবে, সেই কথাও জানাচ্ছেন অনেকে৷ দেশটির বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিপর্যয়ের কারণে বিদ্যুৎ সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে, যা আরও বেশ কিছু দিন অব্যাহত থাকবে৷

এদিকে, ফ্রান্স সম্ভাব্য আরও ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে, এমন আশঙ্কায় ফরাসি জনগণকে টোকিও অঞ্চল থেকে অন্যত্র সরে যাবার পরামর্শ দিয়েছে৷ জাপানে অবস্থিত ফরাসি দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এই কথা জানানো হয়েছে৷ ফরাসি পর্যটকদের আপাতত জাপানে না আসারও পরামর্শ দিয়েছে তারা৷ অপরদিকে, দ্রুততম সময়ে জাপানের জন্য এলএনজি গ্যাস সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য