1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ভুয়া ভিডিওর অছিলায় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া'

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

নানা অজুহাত প্রস্তুত করে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অ্যামেরিকা৷ তবে ওয়াশিংটন, ন্যাটো ও মস্কো আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ নিতে সংলাপে আগ্রহ দেখাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/46W7r
ছবি: Efrem Lukatsky/Efrem Lukatsky/picture alliance

ইউক্রেন ও রাশিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সামান্য ভুল-বোঝাবুঝি অথবা প্ররোচনাই সংঘাত শুরু করার পক্ষে যথেষ্ট৷ এরই মাঝে এক প্রচারণা ভিডিও তৈরি করে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলার পাঁয়তারা করছে বলে মার্কিন প্রশাসন আশঙ্কা করছে৷ মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র অনুযায়ী, সেই ভিডিওতে এক বিস্ফোরণের পরের দৃশ্য রয়েছে, যেখানে ইউক্রেন ও সহযোগী দেশগুলির সরঞ্জাম দেখা যাচ্ছে৷ মৃতদেহের পাশে অভিনেতারা প্রিয়জন হারানোর শোক দেখিয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে ‘পালটা হামলা' চালানোর পথ সুগম করে দিচ্ছে৷ মার্কিন উপ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোনাথন ফাইনার এমএসএনবিসি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন৷

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ অবশ্য এমন দাবির সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন৷ তার মতে, অতীতেও এমন দাবি শেষ পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত হয়েছে৷ রুশ প্রশাসন কৃত্রিমভাবে সংঘাত সৃষ্টি করা অথবা ইউক্রেনের উপর হামলার সম্ভাবনা বার বার উড়িয়ে দিয়ে আসছে৷ তবে সে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দাবি মানা না হলে সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না মস্কো৷ বিশেষ করে অ্যামেরিকা, পোল্যান্ড ও রুমেনিয়ায় বাড়তি ৩,০০০ সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা করায় উত্তেজনা কমার বদলে আরো বাড়বে বলে পেসকভ মন্তব্য করেছেন৷ তার মতে, সতর্কবাণী সত্ত্বেও অ্যামেরিকা ইউরোপ মহাদেশে উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছে৷

রাশিয়াও যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য বেলারুশে সৈন্য পাঠিয়েছে৷ আগামী ২০শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেই মহড়া চলবে৷ ইউক্রেনের উত্তর সীমান্তে এত রুশ সৈন্যের উপস্থিতি নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলেনবার্গ৷ তিনি বলেন, শীতল যুদ্ধ অবসানের পর রাশিয়া এত বেশি সৈন্য মোতায়েন করেনি৷ মহড়ায় প্রায় ৩০,০০০ সৈন্য ছাড়াও বিশেষ বাহিনীর সদস্য ও সামরিক সরঞ্জামও কাজে লাগানো হচ্ছে৷

উত্তেজনা সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা জগতের সংলাপ বন্ধ হচ্ছে না৷ ওয়াশিংটন ও সামরিক জোট ন্যাটো জানিয়েছে, তারা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত৷ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনও চলতি সপ্তাহের শুরুতে সংলাপে আগ্রহ জানিয়েছিলেন৷ তবে ইউক্রেন-সহ সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলি কখনো ন্যাটোর সদস্য হবে না, এমন দাবিতে তিনি অটল রয়েছেন৷ পশ্চিমা বিশ্ব সেই দাবি মেনে নিলে তবেই উত্তেজনা কমানো সম্ভব বলে পুটিন মনে করেন৷ অ্যামেরিকা ও সহযোগী দেশগুলি এ বিষয়ে আলোচনা করতেই প্রস্তুত নয়৷ পশ্চিমা বিশ্ব উত্তেজনা কমাতে কিছু পালটা প্রস্তাব রেখেছে৷ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঊর্দ্ধসীমা, সামরিক মহড়ার ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতার মতো আস্থাবর্ধক পদক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়ার দুশ্চিন্তা দূর করতে চায় ওয়াশিংটন৷ পুটিন এখনো সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাননি৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)