ভুটানে আধুনিকতার ছোঁয়া
অনেকদিন ভুটানে কোনো টেলিভিশন ছিল না, রাস্তায় ছিল না ট্রাফিক লাইট৷ কিন্তু এখন আধুনিক বিশ্বের প্রায় সব প্রযুক্তিই আছে সেখানে৷
ট্রাফিক লাইট নেই
ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে একবার ট্রাফিক লাইট বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷ কিন্তু শহরের বাসিন্দাদের প্রতিবাদের কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি৷
প্রথম টিভি অনুষ্ঠান
প্রচারিত হয়েছিল ১৯৯৯ সালে৷ তার আগে দেশটিতে টেলিভিশনের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ কারণ, আশংকা ছিল, ভুটানিদের ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা নষ্ট করে দিতে পারে টিভি!
আধুনিকতার ছোঁয়া
ভুটানিরা এখন আধুনিক বিশ্বের প্রায় সব সুযোগ সুবিধাই ভোগ করছেন৷ ইন্টারনেট থেকে শুরু করে ড্যান্সবার সবই আছে সেখানে৷ ছবিতে থিম্পুর একটি ইন্টারনেট গেমিং সেন্টার দেখা যাচ্ছে৷ ভিডিও গেম খেলার জন্য তরুণরা সেখানে ভিড় করেন৷
ফুটবল, স্নুকার
টেলিভিশনের হাত ধরে ইউরোপীয় ফুটবলের আমেজও ঢুকে পড়েছে ভুটানে৷ তাই তো বৌদ্ধভিক্ষুদের এখন লাল জামা ছেড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবা চেলসির জার্সিতে ফুটবল খেলতে দেখা যায়৷ আর ছবিতে থিম্পুর একটি স্নুকার খেলার জায়গা দেখছেন৷ সেখানে বাজিও ধরা হয়৷
রাস্তাঘাটে জিন্স
কী শহর, কী গ্রাম - যেখানেই যান, ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা ভুটানিদের পাশাপাশি এখন জিন্স পরা ছেলে-মেয়েদেরও দেখা পাওয়া যায়৷
বেশি সময় মোবাইলে
আধুনিকতার স্পর্শ পেয়ে অবশ্য খুব বেশি খুশি হননি ৪৩ বছরের আপ ডাউ৷ তাইতো এই কৃষক দুঃখ করে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ছেলেমেয়েরা এখন পড়ালেখার চেয়ে মোবাইল ফোনেই বেশি সময় কাটাচ্ছে৷
সুখী হতে শেখা
বলা হয়, বিশ্বের অন্যতম সুখী দেশ ভুটান৷ ভুটানিরা আসলে সুখ খুঁজে নিতে পারেন৷ যেমন, ছবিতে যাঁকে দেখছেন, তাঁর নাম লাহাদেন৷ দুই সন্তানের জননী লাহাদেনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে৷ এখন একটি বার-এ নাচা তাঁর পেশা৷ এজন্য মাসে মাত্র ১২৫ ডলার (প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বাংলাদেশি টাকা) পান তিনি৷ ভালোভাবে জীবনযাপনের জন্য এই অর্থ যথেষ্ট না হলেও তাঁর কথা, ‘‘আমি সুখী কিংবা দুঃখী নই৷ আমার আসলে আর কোনো উপায় নেই৷’’