ভিয়েনায় কী দেখবেন?
১৯ শতকের শিল্প আন্দোলন আর সোনালী রঙের ভবনের শহর ভিয়েনা৷ অস্ট্রিয়ার রাজধানীটির নয়নাভিরাম এই জায়গাগুলো না দেখলেই নয়৷
সিটি সেন্টার
ফার্স্ট ড্রিসট্রিক্ট হিসেবে পরিচিত জায়গাটি ভিয়েনার ইতিহাস ধারণ করে আছে৷ ছবিতে কেন্দ্রে অবস্থিত ভবনটির নাম প্যালাইস ইকুইটেবল৷ ডানে হাস হাউসের অবস্থান৷ অস্ট্রিয়ার স্থাপত্যবিদ হান্স হলাইনের নকশা করা ভবনটি ১৯৯০ সালে খুলে দেয়া হয়৷
বেটোফেন দেয়ালচিত্র
ভিয়েনার নবযুগের শিল্পীদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় গুস্তাভ ক্লিমটের আঁকা দেয়ালচিত্র এটি৷ ভবনের নীচতলায় ১৯০২ সাল থেকে এই চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়ে আসছে৷ ক্লিমট এটি এঁকেছেন বেটোফেনের নবম সিম্ফনির থিমের উপর ভিত্তি করে৷ কয়েক ভাগে আঁকা চিত্রকর্মটিতে মানুষের সুখের আকুলতা প্রকাশ পেয়েছে৷
স্বর্ণালী যুগ
বেটোফেন দেয়ালচিত্রটি ভিয়েনার নবযুগের শিল্পের প্রধান কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ এটি ক্লিমটের শিল্পেরও স্বর্ণযুগের সূচনা হিসেবে ধরা হয়৷ তাঁর বিখ্যাত সব শিল্পকর্মগুলো এই সময়েই আঁকা৷
সেন্ট লেওপোল্ডের চার্চ
স্থাপত্য শিল্পী অটো ভাগনারের নকশায় করা এই চার্চটি নির্মিত হয়েছে ১৯০৪ থেকে ১৯০৭ সালের মধ্যে৷ এটি গোটা ইউরোপে নবযুগের শিল্পের প্রথম চার্চ হিসেবে বিবেচিত হয়৷
অনাড়ম্বর ঐশ্বর্য
চার্চের খুঁটিনাটি প্রতিটি বিষয়ই অটো ভাগনারের নকশা অনুযায়ী তৈরি হয়েছে৷ তবে এর অনাড়ম্বর দিকটি সেন্ট লেওপোল্ডের ফ্রানৎস ফার্দিনান্দের পছন্দ হয়নি৷ তিনি চেয়েছিলেন সাম্রাজ্য যুগের জাঁকজমকপূর্ণ একটি নকশা৷ সপ্তাহের শেষদিনে চার্চটি বিনে পয়সায় ঘুরে দেখার সুযোগ রয়েছে দর্শনার্থীদের৷
আবাসিক ভবন
শুধু চার্চ নয়, ১৯ শতকের শেষ আর ২০ শতকের শুরুর দিকে ওটো ওয়েগনার অনেক আবাসিক ভবনের অপূর্ব সব নকশা করেছেন৷ তার একটি ম্যাজোলিকা হাউস৷ এর দেয়ালের ফুলেল টাইলসের আবরণটি তিনি নিজ খরচে বসিয়েছেন৷ যা সৌন্দর্য্য আর বাস্তবতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছে৷
হাই ব্রিজ
ভবনের মাঝখানে একটি সেতু৷ মাঝ দিয়ে চলে গেছে সড়ক৷ প্রথমে এটি ছিল কাঠের৷ ১৯০৪ সালে সেটিকে ভিয়েনার নব্য শিল্পযুগের কাঠামোতে পুনর্নির্মাণ করা হয়৷ মর্মর পাথর খোঁচিত সেতুটি থেকে রাতে সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়ে৷