1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভিসা হাতে অনিশ্চিত জীবনের মুখে বহু আফগান

১ সেপ্টেম্বর ২০২১

দীর্ঘদিন তারা অ্যামেরিকার সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু ভিসা দিয়েও অ্যামেরিকা তাদের বিমানে তুলতে পারেনি। ভীত কয়েক হাজার আফগান।

https://p.dw.com/p/3zkjH
আফগানিস্তান
ছবি: Ton Koene/imago images

অ্যামেরিকা সহ একাধিক পশ্চিমা দেশ জানিয়েছিল, যে আফগানরা গত ২০ বছর ধরে তাদের সঙ্গে কাজ করেছে, তাদের আফগানিস্তান ছেড়ে অন্য দেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে কি তা ঘটেছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্তত দশ হাজারেরও বেশি আফগান হাতে ভিসা নিয়ে বসে আছেন, কিন্তু তারা কোনো দেশের বিমান ধরতে পারেননি।

অনিশ্চিত জীবন

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরে কাবুলে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন তালেবান মুখপাত্র। সেখানে তিনি বলেছিলেন, যে আফগানরা বিদেশি শক্তির সঙ্গে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তারা নিশ্চিন্তে দেশে থাকতে পারেন। সমস্ত আফগানকে নিয়েই তালেবান নতুন আফগানিস্তান গঠন করবে।

বাস্তব ছবি

বাস্তব ছবি অবশ্য তেমন নয়। আবদুল মাতিন আমিরি তেমনই এক আফগান। সংবাদসংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন তিনি ন্যাটোর সঙ্গে কাজ করেছেন। সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৬ সালে অ্যামেরিকায় স্পেশাল ইমিগ্র্যান্ট ভিসার আবেদন করেন তিনি। সেই ভিসা পেয়েও গেছেন। ভেবেছিলেন, এবারে অ্যামেরিকার বিমানে জায়গা হবে। বিমানবন্দরে গিয়ে বসেও ছিলেন। কিন্তু জায়গা হয়নি। এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে তিনি।

আমিরি জানিয়েছেন, তার বাড়ি কান্দাহারে। এরই মধ্যে দুইবার তালেবান এসে তাদের বাড়িতে আমিরির খোঁজ নিয়ে গেছে। বাচ্চাদের নিয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার কথায়, ''আমি গণতান্ত্রিক দেশে বড় হয়েছি। পড়াশোনা করেছি। কাজ করেছি। আমার বাচ্চাদেরও তেমনই স্বপ্ন দেখিয়েছি। সে জন্যই অ্যামেরিকা যেতে চেয়েছিলাম। এবার কী হবে জানি না। পালিয়ে বেড়াচ্ছি।''

আমিরির মতোই পরিস্থিতি আরো অসংখ্য আফগানের। পশ্চিমা দেশগুলি তাদের আশ্রয় দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সে আশ্রয় তারা পায়নি। সোমবার কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে চলে গেছে অ্যামেরিকা। বিমানবন্দর এখন তালেবানের দখলে। এরপর আদৌ কেউ আর দেশের বাইরে যেতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় সকলের মনে।

অ্যামেরিকার বক্তব্য

অ্যামেরিকা সহ একাধিক পশ্চিমা দেশ অবশ্য জানিয়েছে, তালেবানের সঙ্গে তারা আলোচনা জারি রেখেছে। এখনো যারা সে দেশে রয়ে গেছে, তাদের উপর যাতে অত্যাচার চালানো না হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে। শুধু তাই নয়, তাদের জন্য সাহায্য পাঠানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাহায্য আসবে কোন পথে?

মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দূতাবাসও বন্ধ। ফলে কীভাবে অ্যামেরিকা তাদের সাহায্য করবে, তা নিয়ে সংশয়ে বহু আফগান।

গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক ব্যক্তির উপর তালেবান আক্রমণ চালিয়েছে বলে শোনা গেছে। সাংবাদিকদের না পেয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। রীতিমতো তালিকা তৈরি করেছে তারা। বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কর্মরত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পালাতে চাওয়া আফগানদের কী হবে, তা নিয়ে বিব্রত মানবাধিকার সংগঠনগুলি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, আল জাজিরা)