ভাস্কর্য তো নয়, যেন বাস্তব!
অস্ট্রেলিয়ার ভাস্কর রন মিউয়িকের কাজ দেখে দর্শকরা প্রথমে চমকে ওঠেন৷ কারণ, তাঁর গড়া ভাস্কর্য আর বাস্তবের মধ্যে যে খুব একটা অমিল নেই৷
সৈকতে আয়েশ
ভাস্কর্যটি মিউজিয়ামে না রেখে যদি সমুদ্রসৈকতে রাখা হতো তাহলে অনেক পাঠকই হয়তো বুঝতে পারতেন না যে, এরা আসল দম্পতি নন৷ অস্ট্রেলিয়ার ভাস্কর রন মিউয়িকের কাজ এটি৷
বিছানায়
ইংরেজিতে এই ভাস্কর্যের নাম ‘ইন বেড’৷ ২০০৫ সালে এটি নির্মাণ করেছিলেন রন মিউয়িক৷
আত্মপ্রতিকৃতি
এটি রন মিউয়িকের আত্মপ্রতিকৃতি৷ ১৯৫৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এক জার্মান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি৷ তাঁর মা-বাবা খেলনা তৈরি করতেন৷ অল্প বয়সে পরিবারের সঙ্গে ব্রিটেনে পাড়ি জমান মিউয়িক৷ এক সময় টেলিভিশনে শিশুদের জন্য কাজ করেছেন৷ টিভি, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন জগতের জন্য মডেলও বানিয়েছেন৷ ফ্যান্টাসি ফিল্ম ‘ল্যাবেরিন্থ’-এর স্পেশাল ইফেক্টও তাঁর তৈরি৷
দুই নারী
২০০৫ সালে ‘টু ওমেন’ নামের এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেন মিউয়িক৷
পানিতে ভেসে আছে
সুইমিংপুলে এভাবে ভেসে আরাম করা কিংবা রোদ পোহানোর খুব পরিচিত দৃশ্য এটি৷ ‘ড্রিফট’ নামের এই শিল্পকর্মের কাজ ২০০৯ সালে শেষ করেন রন মিউয়িক৷
নবজাতক
ভালো করে খেয়াল করে দেখুন গায়ে রক্ত লেগে আছে৷ আমাদের সবার জন্মই এভাবে হয়েছে৷ রন মিউয়িক এই ভাস্কর্যের নাম দিয়েছেন ‘এ গার্ল’৷ ২০০৬ সালের কাজ এটি৷
বালক
১৯৯৯ সালে ‘বয়’ নির্মাণ করেন মিউয়িক৷ এটি এখন আছে ডেনমার্কের অরহুস আর্ট মিউজিয়ামে৷ সাড়ে চার মিটার উঁচু এই ভাস্কর্যের ওজন ৫০০ কেজি৷