1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের পলায়নে বিরক্ত প্রশাসন

২৬ আগস্ট ২০২১

প্রশাসনকে নোয়াখালীর ভাসানচরের শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের পালানো ঠেকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে৷ পালানোর সময় নৌকা ডুবে মৃত্যু এবং পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরেও থামানো যাচ্ছে না পালানোর এই প্রবণতা৷

https://p.dw.com/p/3zVMC
গত বছরের ডিসেম্বরে নৌ বাহিনীর জাহাজে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়ছবি: Rehman ASAD/AFP/Getty Images

ভাসানচর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ পর্যন্ত ৬৬৮ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে পালিয়েছে৷ তাদের মধ্যে ১৩ জন স্বেচ্ছায় আবার ফিরে এসেছে৷ পালিয়ে যাওয়ার সময় সাগরে নৌকা ডুবে ১৪ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু মারা গেছে৷

ওসি আরো জানান, ‘‘এছাড়া এখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দুইশ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে৷ তাদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে দালাল সন্দেহে ১৭ জন বাঙালিকে আটক করা হয়েছে৷’’

এসব ঘটনায় ভাসানচর থানায় আটটি মামলা হয়েছে বলেও ওসি জানান৷ নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ছয় দফায় ১৮ হাজার ৩৩৪ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে৷ বর্তমানে ১৮ হাজার ৫৯৩ জন রোহিঙ্গা বসবাস করছে এখানে৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের এক জনপ্রতিনিধি বলেন, রোহিঙ্গারা ভাসানচরে আসার পর থেকে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর আলাউদ্দিন গ্রামের ৫০-৬০ জনের একটি চক্র তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে৷ এই চক্রটি এক সময় নদীতে দস্যুতার সঙ্গে জড়িত ছিল৷

তারা জনপ্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাতের অন্ধকারে ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের চর আলাউদ্দিনের গোপাল ঘাটে নামিয়ে সেখান থেকে অটোরিকশা বা মোটরসাইকেলে জেলা সদরের সোনাপুর বাস টার্মিনালে পৌঁছে দেয়৷

রোহিঙ্গা পাচারের অভিযোগে চর আলাউদ্দিন গ্রামের সাইফুল, নুর ইসলাম ও রুবেল পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এখন কারাগারে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷

ভাসানচর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গাদের অনেকে সাগরে মাছ ধরার অজুহাতে আইনশৃংখলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছে৷

ভাসানচরে অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন বলেন, ‘‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু রয়েছে৷ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে অধিকাংশ রোহিঙ্গা এখানে থাকতে চাচ্ছে৷ দুচার জন দালাল তাদেরকে ফুসলিয়ে বের করতে চাচ্ছে৷নেভি, কোস্টগার্ড তাদের বেইজে থাকে, প্রতিদিন অনেক রোহিঙ্গা নদীতে মাছ ধরতে যায়৷ বিশাল দ্বীপের কোন পাশ দিয়ে নৌকায় করে দালালের মাধ্যমে পালিয়ে যায় তা বোঝা মুশকিল৷’’

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ভাসানচর থেকে রোহিঙ্গাদের পালানো ঠেকাতে পুলিশের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, এপিবিএন, আরআরআরসি, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে৷ এরপরও কিছু বিছিন্ন ঘটনা ঘটছে এবং প্রতিটি ঘটনার জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে৷’’

‘‘পালাতে সহায়তাকারী দালালদের আটক এবং এসব ঘটনায় মামলা হচ্ছে৷ নতুন করে যাতে কোনো রোহিঙ্গা পালাতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি রোহিঙ্গা পাচারের সাথে জড়িতদের বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা চলছে৷’’

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য