1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে স্থগিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল

১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটও আপাতত স্থগিত রাখল অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল।

https://p.dw.com/p/3iJR9
ছবি: H. Pennink/AP Photo/picture-alliance

ভারতীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউটকে। অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন ভারতে তৈরি করছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। অ্যামেরিকায় সেই একই ভ্যাকসিন তৈরি করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। দিন কয়েক আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায় ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে এক রোগীর কিছু অসুস্থতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাই আপাতত ট্রায়াল বন্ধ রাখা হচ্ছে। কিন্তু সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, ভারতে ট্রায়াল চলবে। কারণ, ভারতে কেউ অসুস্থ হননি। তারই জেরে ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ড বা ডিসিজিআই শোকজ করেছে সিরাম ইনস্টিটিউটকে।

বিশ্বের চারটি দেশে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চালাচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। দিন কেয়ক আগে তারা জানায়, যুক্তরাজ্যে এক ব্যক্তির শরীরে কিছু সাইড এফেক্ট দেখা গিয়েছে। তাঁর নানা ধরনের পরীক্ষা হয়েছে। নিরপেক্ষ চিকিৎসকদের কাছে তার টেস্ট রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র এলে তবেই আবার নতুন করে ট্রায়াল শুরু হবে। এটাই যে কোনও ওষুধের ট্রায়ালের নিয়ম। কারও শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ট্রায়াল বন্ধ করতে হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সঙ্গে সঙ্গে ট্রায়াল বন্ধ করে দেয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

ভারতে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটও ওই একই ভ্যাকসিন তৈরি করছে। ভারতেও চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়েছে। দেশের ১৭টি সেন্টারে এক হাজার ৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। শনিবার থেকে তাদের শরীরে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। অ্যাস্ট্রাজেনেকার রিপোর্টের পরেও সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতে ট্রায়াল বন্ধ হবে না। তারই জেরে বৃহস্পতিবার তাঁর কাছে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসে প্রশ্ন করা হয়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার রিপোর্টের পরেও কেন সিরাম ইনস্টিটিউট ট্রায়াল বন্ধ করছে না? কেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে অসুস্থ রোগীর রিপোর্ট চাওয়া হয়নি?

শো-কজ নোটিসের উত্তরে সিরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের কথা মেনে তারাও আপাতত ট্রায়াল স্থগিত রাখছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ট্রায়াল শুরু হলে তবেই ফের সিরাম ইনস্টিটিউট ট্রায়াল শুরু করবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ বিষয়ে মন্তব্য করেছে। তাদের বক্তব্য, গোটা পৃথিবীতে দ্রুত করোনার ভ্যাকসিন ছাড়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। অনেকে চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা না করেই করোনার টিকা বাজারে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার রিপোর্ট সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল কতটা জরুরি, তা এই ঘটনাই প্রমাণ করে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, রয়টার্স)