1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের মতো জার্মানিতেও আদমশুমারি নিয়ে বিতর্ক

৮ মে ২০১১

কিছুদিন আগে ভারতে আদমশুমারিতে জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা নিয়ে চরম বিতর্ক দেখা দিয়েছিল৷ ২০১১ সালে গোটা ইউরোপ জুড়ে জনগণনার ক্ষেত্রেও এমন কিছু প্রশ্ন রাখা হচ্ছে, যা বিতর্কের কারণ হয়ে উঠছে৷

https://p.dw.com/p/11BRl
ছবি: AP

২০০৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১১ সালে ২৭টি সদস্য দেশকেই নতুন করে জনগণনা করতে হবে৷ তবে এর ফলাফল বিশ্লেষণ করতে ২ বছর লেগে যাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ১৯৮৭ সালের পর জার্মানিতে ৯ই মে আবার এই কাজ শুরু হচ্ছে৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে, হঠাৎ এখনই ইউরোপ জুড়ে জনগণনার প্রয়োজন পড়ছে কেন?

ইউরোপীয় পরিসংখ্যান দপ্তর ‘ইউরোস্ট্যাট'এর প্রধান জানালেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হলে বিশেষ কিছু তথ্যের প্রয়োজন পড়ে৷ যেমন ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানি সংক্রান্ত কোনো কোনো বিষয়ের তুলনা করতে হলে সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রস্তুত থাকা চাই৷ বর্তমানে এই তথ্যভাণ্ডারে অনেক ঘাটতি রয়েছে৷

আপাতদৃষ্টিতে কোনো দেশেই আদমশুমারির উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ না থাকলেও বিতর্ক দেখা দেয় এই পরিকল্পনা কার্যকর করার ক্ষেত্রে৷ যেমন নাগরিকদের ঠিক কী প্রশ্ন করা উচিত, সেই সব প্রশ্নের উত্তরের আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে কি না, উত্তরগুলি কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তথ্য সংরক্ষণেরই বা কতটা নিশ্চয়তা থাকবে – এসব নিয়ে সংশয় দেখা দেয়৷ জার্মানিতে বিষয়টি বেশ স্পর্শকাতর৷ গত শতাব্দীর আশির দশকে জার্মানিতে যখন আদমশুমারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তখন প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল৷ সাংবিধানিক আদালত প্রশ্নপত্র বাতিল করেছিল৷

এবার সেই প্রতিরোধ অনেকটা কমে এসেছে৷ তবে তথ্য প্রযুক্তি সর্বস্ব এই যুগে নাগরিকদের সম্পর্কে যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, তা জমা রাখার মেয়াদ, গোপনীয়তার স্তর, প্রয়োজনের তুলনায় বাড়তি প্রশ্ন রাখার মতো বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে৷ বিশেষ করে জার্মানি যেভাবে তথ্য সংগ্রহ করছে, তা ভারতের আদমশুমারিতে জাতপাত সংক্রান্ত প্রশ্নের কথা মনে করিয়ে দেয়৷ যেমন জার্মান নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও অভিবাসীদের আলাদা করে সনাক্ত করা হচ্ছে৷ অর্থাৎ আইনের চোখে সব নাগরিক সমান হওয়া সত্ত্বেও এই বাড়তি তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ তবে এই উদ্যোগের সমর্থকরা বলছেন, এর মধ্যে বৈষম্যের গন্ধ খোঁজা ঠিক হবে না৷ কারণ অভিবাসী সংক্রান্ত নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে এমন তথ্য অত্যন্ত জরুরি৷ তবে এমন তথ্য সংগ্রহ করার সময়ে কোনো অভিবাসী নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য জমা রাখার প্রয়োজন নেই বলে অনেকে মনে করছেন৷ কারণ একবার কোনো তথ্যভাণ্ডারে কারো সম্পর্কে এই সব তথ্য জমা পড়লে পরে তার অপব্যবহার হতে পারে৷

ইউরোপে আদমশুমারির ফলাফলের মধ্যে অনেক চমক অপেক্ষা করে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ যেমন জার্মানির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৮ কোটি ২০ লক্ষ ধরে নেওয়া হলেও বাস্তবে তা প্রায় ১০ লক্ষ কম বলে জানা যাবে – অনেকে এমন পূর্ববাণী করছেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক