1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে ২০ জনের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেইন

৩০ ডিসেম্বর ২০২০

ভারতে ক্রমশ বাড়ছে করোনার নতুন স্ট্রেইনে আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতাতেও একজন আক্রান্ত। মেরঠে আক্রান্ত দুই বছরের শিশু।

https://p.dw.com/p/3nMEb
করোনা
ছবি: picture-alliance/ZUMA/NIAID-RML

করোনার নতুন স্ট্রেইন ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতে ছয় জনের শরীরে নতুন স্ট্রেইন মিলেছিল। বুধবার সংখ্যাটি পৌঁছেছে বিশে। তার মধ্যে একটি দুই বছরের শিশু আছে। সকলেই যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন কিছুদিনের মধ্যে। এর মধ্যে একজন কলকাতার। আক্রান্তকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। গত ২১ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ভারতের সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছিল। বুধবার নতুন নির্দেশিকায় আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বিমান যোগাযোগ বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে কলকাতায় ফিরেছেন পশ্চিমবঙ্গের এক স্বাস্থ্যকর্তার ছেলে। তাঁর শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। কিন্তু যুক্তরাজ্য থেকে আসার কারণে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়। সেখানেই দেখা যায়, তাঁর শরীরে করোনার ভাইরাস আছে। বিশেষ ল্যাবে পাঠিয়ে সেই ভাইরাস পাঠিয়ে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের নতুন স্ট্রেইন তাঁর শরীরে আছে। এরপরেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বিশেষ ওয়ার্ডে তাঁকে পাঠানো হয়। ওই ওয়ার্ড করোনা ওয়ার্ড নয়। যেহেতু তাঁর শরীরে নতুন স্ট্রেইন রয়েছে, তাই সাধারণ করোনা রোগীদের থেকেও তাঁকে আলাদা রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল টিম তৈরি করে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

অন্য দিকে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে পৌঁছেছেন এক দম্পতি এবং তাঁদের দুই বছরের শিশু। ওই শিশুর শরীরেও করোনার নতুন স্ট্রেইন পাওয়া গিয়েছে। শিশুটির বাবা-মায়ের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেলেও তা নতুন স্ট্রেইন কি না, তা এখনো জানা যায়নি। দিল্লির ল্যাবে তাঁদের শরীরের ভাইরাস পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। সকলকেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁদের এলাকা সিল করে দিয়েছে প্রশাসন।

এ দিকে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে দিল্লি ফিরে ট্রেনে অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর শরীরেও নতুন স্ট্রেইন মিলেছে। ট্রেনে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সংস্পর্শে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। ফলে তাঁর মাধ্যমে ওই স্ট্রেইন আরো মানুষের শরীরে পৌঁছেছে কি না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন।

এমনিতে গত কয়েক সপ্তাহে ভারতে করোনার প্রকোপ খানিকটা কমেছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই নেমেছে। কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ভ্যাকসিনও জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই এসে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন স্ট্রেইন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে দিকে লক্ষ্য রেখেছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি। যুক্তরাজ্য থেকে যাঁরা গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফিরেছেন, তাঁদের সকলকেই বাধ্যতামূলক ভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান পরিষেবাও আগামী ৭ জানুয়ারি মাঝরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। আগে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছিল। বুধবারই নতুন সার্কুলার জারি করে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে সরকার। তবে ৭ তারিখের পরে কড়া নজরদারিতে বিমান চলাচল শুরু করা হবে বলে কলকাতা বিমানবন্দরের এক আধিকারিক ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন। দুই একদিনের মধ্যেই নতুন সার্কুলার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এএনআই)