1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে সকলের জন্য টিকা, মিলবে খোলাবাজারেও

২০ এপ্রিল ২০২১

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমলেও মৃতের সংখ্যা বেড়েছে৷ ১ মে থেকে সব প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দেয়া হবে৷

https://p.dw.com/p/3sFoY
ভারতে এখন প্রায় সব হাসপাতাল করোনা রোগীতে ভর্তি। ছবি: Debarchan Chatterjee/NurPhoto/picture alliance

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫৯ হাজার জন। তবে এই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৭০০ মানুষ। এর আগে একদিনে এত মানুষ করোনায় মারা যাননি। প্রতিটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য লম্বা লাইন। দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই বেঙ্গালুরু সহ দেশের অধিকাংশ হাসপাতালই ভর্তি। দেশজুড়ে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার চলছে। এই অবস্থায় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১ মে থেকে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীরা করোনার ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।

আর ভ্যাকসিন এবার ভারতে খোলা বাজারে বিক্রি হবে। রাজ্যগুলিও বাজার থেকে বা নির্মাতাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনতে পারবে। এতদিন কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যগুলিকে তা সরবরাহ করছিল। তবে বাজারে করোনা ভ্যাকসিনের দাম কত হবে তা বলা হয়নি।

মনমোহন সিং হাসপাতালে ভর্তি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এইমসে ভর্তি হয়েছেন। তিনি করোনার টিকা কোভ্যাকসিনের দুইটি ডোজ নিয়েছেন। তাঁর জ্বর আছে। করোনা পরীক্ষাও হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, ''কোনো ঝুঁকি না নিয়ে মনমোহন সিং-কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশা করছি, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।''

একদিন আগেই মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে বলেছিলেন, ৪৫ বছরের নীচে সব স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনার টিকা দেয়া উচিত। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য শুধু স্বাস্থ্যকর্মী নয়, সকলের জন্যই টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দিল্লিতে লকডাউন

রাজধানী দিল্লিতে শুরু হয়েছে ছয়দিনের লকডাউন। পুরো দিল্লি শুনশান। অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের দোকান খোলা আছে। পরিষেবা দেন এমন মানুষদের যাতায়াতে কোনো বাধা নেই। প্লেন, ট্রেন চলছে। তবে প্লেনে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখিয়েই ওঠা যাচ্ছে। দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৬৮৬ জন।  আগের দিন দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৫ হাজারের বেশি মানুষ।

পরিযায়ী শ্রমিক

দিল্লিতে লকডাউন শুরু হতেই রাজধানী ছাড়ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। বাস ও ট্রেনে করে তারা নিজেদের রাজ্যে ফিরছেন। গতবারের অভিজ্ঞতার ফলে তাদের দিল্লি ছাড়ার হিড়িক দেখা দিয়েছে। একই ছবি মুম্বইয়েও। গতবার চারঘণ্টার মধ্যে দেশজুড়ে লকডাউন হওয়ায় এবং সব যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিযায়ী শ্রমিকরা অসম্ভব কষ্টের মধ্যে পড়েছিলেন। তারা কয়েকশ কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরেছিলেন। অনেকে পথে মারা গেছেন। তাই এবার তারা আগেভাগেই ঘরের পথে।

ভারতে না আসার অনুরোধ

অ্যামেরিকা তাদের নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তারা যেন এখন ভারতে না যান। বলা হয়েছে, দুই ডোজ টিকা নেয়া হলেও ভারতে যাওয়া উচিত হবে না।  কারণ, ভারতে করোনা ভয়ংকরভাবে ছড়াচ্ছে। এরপরেও যদি কেউ ভারতে যান, তা হলে অবশ্যই দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিতে হবে। ভারতে গিয়ে সর্বদা মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, হাত বারবার স্যানিটাইজ করতে হবে এবং মানুষের সঙ্গে ছয় ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার ভারত সফর বাতিল করেছেন। তাছাড়া যুক্তরাজ্য ভারতকে লাল তালিকাভুক্ত করেছে। তার মানে ভারত থেকে কেউ এখন যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে না।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এনডিটিভি)