ভারতে সংসদের অচলাবস্থা কাটেনি
১৬ নভেম্বর ২০১০টু-জি স্পেকট্রাম,আবাসন ও কমনওয়েলথ গেমস কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত করতে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবিতে আজও সংসদের কাজকর্ম অচল করে রাখে বিরোধী পক্ষ৷ অচলাবস্থা কাটাতে আসরে নামেন লোকসভায় শাসক দলের নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ কিন্ত বরফ গলেনি৷ তিনি বলেন, জেপিসির দাবিতে অনড় থাকায় পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সরকার নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করবে৷ সিপিআইএম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরির বলেন, সরকার জেপিসি গঠনে রাজি হচ্ছেনা, সেক্ষেত্রে বিকল্প ঠিক করতে হবে৷
টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের যে রিপোর্ট নিয়ে সংসদের ভেতরে ও বাইরে এত আলোড়ন, মঙ্গলবার ৭৭-পাতার সেই রিপোর্ট পেশ করা হয় সংসদে৷ তাতে বলা হয়, টেলিকম মন্ত্রী টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনে কোন নিয়কানুনের ধার ধারেননি৷ ইউনিফায়েড অ্যাকসেস সার্ভিস লাইসেন্স বন্টনে কোন স্বচ্ছতা ছিলনা৷ মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে সিএজির ডেপুটি বলেন, অর্থ ও আইন মন্ত্রণালয় এমন কী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ পর্যন্ত প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্র এ.রাজা উপেক্ষা করেছেন, নির্বাচিত কিছু কোম্পানিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে৷ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছিল স্পেকট্রাম বন্টন ন্যায্য ও স্বচ্ছভাবে করা হোক নীলামের মাধ্যমে৷ তা না করায় সরকারি কোষাগারে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় আনুমানিক ১লাখ ৭৬ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা৷ এই হিসাবটা থ্রি-জি স্পেকট্রাম নীলাম করে পাওয়া অর্থের ভিত্তিতে৷
বিজেপি নেতৃত্ব সিবিআই বা ভিজিল্যান্স কমিশনের তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ বলেছেন, তাদের তদন্ত প্রক্রিয়ার দিকে নজর রাখতে জেপিসি দরকার৷ এই দাবি না মানা পর্যন্ত তারা সংসদ চলতে দেবেনা৷
স্পেকট্রাম কী ? মোবাইল সিগন্যালের জন্য দরকার স্পেকট্রাম৷ যার মালিক সরকার৷ মোবাইলের চাহিদা অনুযায়ী সরকার তার অংশ বন্টন বা বিক্রি করেন৷ মোবাইল প্রযুক্তিকে ভাগ করা হয় প্রজন্ম ধরে৷ মোবাইলে কথা বলা বা মেসেজ করার মত প্রাথমিক কাজগুলো শুধু করা যায় টু-জি স্পেকট্রাম প্রযুক্তিতে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক