ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি
বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তিটি এখন ভারতে৷ ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’-র প্রায় তিনগুণ উচ্চতার এই মূর্তিটিকে চিনতে চোখ রাখুন এই ছবিঘরে...
অবশেষে উন্মোচন
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ভারতের ‘একতা মূর্তি’ উন্মোচিত হলো৷ গত পাঁচ বছর ধরে চলছিল এই মূর্তিটির কাজ৷ বিশ্বের সর্বোচ্চ এই মূর্তিটির নকশা করেছেন পদ্মভূষণ-জয়ী ভারতীয় ভাস্কর, রাম ভি সুতার৷
এত বড়! সত্যি?
৫৯৭ ফুট উঁচু এই মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে৷ দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অবশেষে উন্মোচিত হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এই মূর্তি৷ ২২,০০০ বর্গমিটার অঞ্চলজুড়ে শুধু এই মূর্তিই নয়, রয়েছে একটি কৃত্রিম হ্রদও৷
কার মূর্তি এত বড়?
‘একতা মূর্তি’ বা ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ নামের এই মূর্তিটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের৷ নর্মদা বাঁধের কাছে গড়ে তোলা হয়েছে এই মূর্তি৷ গুজরাট রাজ্যের রাজপিপলা অঞ্চলে এটি নির্মাণ করতে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিন হাজারেরও বেশি শ্রমিক৷
কে এই সর্দার প্যাটেল?
স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন বল্লভভাই প্যাটেল৷ দৃঢ় নেতৃত্বগুণের কারণে তাঁর নাম হয়ে গেছে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল৷ স্বাধীনতার আগে অসংখ্য কৃষক আন্দোলন সংগঠিত করা ছাড়াও, ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রথম সারির নেতা ছিলেন পেশায় ব্যারিস্টার সর্দার প্যাটেল৷
লৌহমানব প্যাটেল
আরেকটি নামও জুড়েছে বল্লভভাই প্যাটেলের সাথে৷ একটি ঐক্যবদ্ধ ভারত গঠনের উদ্দেশ্যে নিবেদিতপ্রাণ প্যাটেলকে ভারতের ‘আয়রন ম্যান’ বা লৌহমানব-ও বলা হয়ে থাকে৷ ঠিক সে কারণেই বল্লভভাইয়ের এই মূর্তি গড়তে প্রয়োজন পড়েছে ৫,০০০ টনেরও বেশি লোহা ও ২,০০০ টন তামা!
উচ্চতার দাম
প্রাথমিকভাবে এই মূর্তি গড়ার খরচ নির্ধারণ হয় আনুমানিক তিন হাজার কোটি ভারতীয় টাকা৷ পরে বিখ্যাত প্রকৌশলী সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুবরো এই দায়িত্ব পেলে খরচ কমে দাঁড়ায় ২,৯৮৯ কোটি টাকা৷
পরিকল্পনার শুরু
২০১৮ সালে এই মূর্তিটি দিনের আলো দেখলেও এর পরিকল্পনা কিন্তু বহুদিন আগের৷ ‘সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল একতা ট্রাস্ট’ নামের একটি সংস্থা ২০১০ সালে এই প্রকল্পের ঘোষণা করে৷ এই প্রকল্পের সাথে ইতিমধ্যে লারসেন অ্যান্ড টুবরো ছাড়াও জুড়েছে বেশ কিছু বিদেশি সংস্থাও৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে মূর্তি তৈরির কাজে ব্যস্ত চীনা প্রকৌশলীদের৷
শুভ উদ্বোধন
আজ, অক্টোবরের ৩১ তারিখে, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মূর্তিটি উন্মোচন করেন৷