1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণ, ১১ বাংলাদেশির কারাদণ্ড

২৩ মে ২০২২

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে টিকটক হৃদয় বাবুসহ সাতজনের যাবজ্জীবন ও চারজনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে৷ বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত এ রায় দিয়েছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়৷

https://p.dw.com/p/4Bj9m
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/E. McGregor

এদিকে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি তরুণীকে দেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে৷ তার সাথে মানবপাচারের শিকার আরো তিন তরুণীও দেশে ফিরছেন৷ ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, তাদের ঢাকায় আনা হচ্ছে৷ রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তাদের রাখা হবে৷

২০২১ সালে বাংলাদেশি ওই তরুণীকে বেঙ্গালুরুতে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়৷ নির্যাতনের ভিডিও দুই দেশেই ‘ভাইরাল' হলে উভয় দেশের পুলিশের তৎপরতায় নির্যাতনকারী ও মানবপাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়৷

শুক্রবার বাংলাদেশি ওই তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় আলোচিত টিকটক হৃদয় বাবুসহ ১১ বাংলাদেশির সাজা হয়৷ ১১ জনের মধ্যে সাত জনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত৷

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাকদুল ইসলাম (হৃদয় বাবু), মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেন৷

তানিয়া খান নামের এক নারী আসামির ২০ বছর এবং মোহাম্মদ জামাল নামের একজনের পাঁচ বছরের দণ্ড দিয়েছেন বিচারক৷ আর ফরেনার্স অ্যাক্টের অধীনে নুসরাত ও কাজল নামে দুজনের ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷ বিচারে খালাস পেয়েছেন একজন৷

২০২০ সালের মে মাসে বেঙ্গালুরুতে ২২ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়৷ কয়েক দিন পর নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়৷

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি দেখার পর প্রথম পদক্ষেপ নেয় আসাম পুলিশ৷  ওই ভিডিও থেকে পাঁচ নিপীড়কের ছবি প্রকাশ করে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য টুইটারে পুরস্কারের ঘোষণা দেয় তারা৷ পরে ওই ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে৷ এদের মধ্যে টিকটক হৃদয়  বাবুসহ দুজন পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গ্রেপ্তার হয় বলে তখন জানায় ভারতের পুলিশ৷

ওই ঘটনায় ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা৷ পরে ঢাকার পুলিশ হৃদয় বাবুর সহযোগীসহ অনেককেই গ্রেপ্তার করায় মানবপাচারের আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে এসেছে৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান