1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জিএম নিষিদ্ধ করার সুপারিশ

১০ আগস্ট ২০১২

ভারতে জিএম খাদ্যশস্যের পরীক্ষামূলক চাষ বন্ধ করার এবং এই খাদ্যশস্য নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি৷ সরকারের অনুমোদন ছাড়া জিএম বীজের পরীক্ষা কীভাবে এবং কেন হচ্ছে, সে সম্পর্কে তদন্তের কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে৷

https://p.dw.com/p/15ndc
ছবি: Robin Powell

ভারতে খাদ্যশস্য উৎপাদনে ‘জেনিটিক্যালি মডিফায়েড' সংক্ষেপে জিএম বীজের পরীক্ষামূলক চাষ অবিলম্বে বন্ধ করার এবং এই বীজ ভারতে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি৷ গতকাল সংসদে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়৷ বিটি ঢ্যাড়শ বীজ এবং বিটি কটন বীজের সব রকম মূল্যায়ন হবার আগেই কী করে এইসব বীজের বাণিজ্যিকীকরণের অনুমতি দেয়া হয়েছে, তার তদন্ত করার কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে৷ সন্দেহ, এতে স্বার্থান্বেষী চক্রের যোগসাজস আছে৷

সরকারের সমালোচনা করে কমিটি বলেছে, ভারতের ৭০ শতাংশ ছোট ও প্রান্তিক কৃষকের স্বার্থ উপেক্ষা করে, সংসদে আলোচনা না করে কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও অরণ্য মন্ত্রণালয় এই নীতি কার্যকর করে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে৷ জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুমোদন কমিটির গঠন এবং নিয়ন্ত্রক ভূমিকার সমালোচনা করেছে কমিটি৷

কংগ্রেস ও বিজেপি'র ১৯ জন সদস্যসহ ৩১ জন সদস্যের এই কমিটির চেয়ারম্যান সিপিএম'এর বাসুদেব আচারিয়া বলেন, এ বিযয়ে প্রতিটি সদস্য একমত৷ ভারতের মতো দেশে যেখানে ৭২ শতাংশ বা ৮২ শতাংশ চাষি ছোট এবং প্রান্তিক, যেখানে জীববৈচিত্র্য এত বিশাল, সেখানে আমাদের জেনিটিক্যালি খাদ্যশস্য উৎপাদনে যাওয়া উচিত নয়৷ দ্বিতীয়ত, এর চাষ ব্যয়সাধ্য বলে ছোট চাষিদের লাভ হবেনা৷ উল্টে তাঁরা ঋণের ফাঁদে পড়বেন৷

জিএম বীজের আরো বিস্তারিত গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার৷ সেটা না হওয়া পর্যন্ত সরকারের নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণবিধি কঠোর করতে হবে৷ কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘অতীতে এই প্রযুক্তি না নিয়েও আমরা যখন খাদ্য উৎপাদন ৬ কোটি ৬০ লক্ষ টন থেকে বাড়িয়ে ২৫ কোটি ৪০ লক্ষ টন করতে পেরেছি, তখন ২০২০ বা ২০৫০ সালে বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে পারবো না, একথা মনে করার কারণ নেই৷''

‘জেনিটিক্যালি মডিফায়েড' বীজটা কী? কৃত্রিম উপায়ে গবেষণাগারে জেনিটিক ইঞ্জিনিয়ারিং'এর সাহায্যে বীজের জীনঘটিত পরিবর্তন করা৷ এর সুফল, এই বীজে ফসল তাড়াতাড়ি বাড়ে, ফসলের কীটপতঙ্গ প্রতিরোধক ক্ষমতা থাকে, পুষ্টি গুণ থাকে বেশি৷ অন্যদিকে পরিবেশবিদরা জিএম খাদ্যকে ‘ফ্র্যাঙ্কেনফুড' বলে মনে করেন৷ এই বীজে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে পড়ে নেতিবাচক প্রভাব৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য