1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে কেন্দ্রীয় বোর্ডের পরীক্ষা বাতিল

২৫ জুন ২০২০

করোনার কারণে ভারতে দুই কেন্দ্রীয় বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিল করা হলো। সুপ্রিম কোর্টকে তাঁরা এই সিদ্ধন্তের কথা জানিয়েছে।

https://p.dw.com/p/3eJYY
ছবি: Imago/Hindustan Times

ভারতে দুই কেন্দ্রীয় বোর্ড সিবিএসই ও আইসিএসই-র সেকেন্ডারি(দশম শ্রেণী) ও সিনিয়ার সেকেন্ডারি(দ্বাদশ শ্রেণী) পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হলো। হায়ার সেকেন্ডারির কিছু পরীক্ষা লকডাউনের আগে নেওয়া হয়েছিল। বাকি পরীক্ষা আগামী ১ থেকে ১৫ জুলাই নেওয়ার কথা ছিল। এ দিন সুপ্রিম কোর্টে  দুই বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। দেশজুড়ে করোনার তাণ্ডব চলছে। কিছু রাজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। এই অবস্থায় পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিপাকে ফেলতে চায় না দুই বোর্ড।

দুই বোর্ডের প্রস্তাব হলো, সেকেন্ডারি পরীক্ষা আর নেওয়াই হবে না। আর সিনিয়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সিবিএসই জানিয়েছে, শেষ তিনটি পেপারের গড় নম্বর দিয়ে রেজাল্ট ঘোষণা করে দেওয়া হবে। সেটাও করা হবে অগাস্টের মাঝামাঝি। তবে ছাত্রছাত্রীরা যদি চান, তা হলে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষায় বসতে পারেন। তবে কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা কেউ জানেন না।

সিবিএসইর পক্ষে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে বলেন, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ওড়িশার মতো বেশ কয়েকটা রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা পরীক্ষা নিতেই পারবে না। করোনার কারণে পরীক্ষা নেওয়ার পরিস্থিতি নেই। সুপ্রিম কোর্ট এই দুই বোর্ডকে বলেছে, তাঁরা যেন কবে ফল প্রকাশ করা হবে, কীভাবে ফলপ্রকাশ হবে এই বিষয়গুলি পরিস্কারভাবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি তাঁদের কাছে জমা দিতে হবে। তারপর সর্বোচ্চ আদালত এই ব্যাপারে রায় দেবে। 

করোনার জন্য ভারতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষাও সম্ভবত হবে না। তার জায়গায় বাকি সেমিস্টারের ফল এবং ইন্টারনাল অ্য়াসেসমেন্টের গড় করে নম্বর দিয়ে দেওযা হতে পারে। কলেজে স্নাতক স্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের এ ভাবেই নম্বর দেওয়া হয়েছে। স্নাতকোত্তর স্তরেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। বাকি ছিল কেবল স্নাতকে তৃতীয় বর্ষের এবং স্নাতকোত্তরে দ্বিতীয় বর্ষের শেষ সেমিস্টার যাঁরা দেবেন তাঁদের পরীক্ষা ও ফলাফলের বিষয়টি।

কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে তিনি ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন বা ইউজিসিকে নীতিনির্দেশিকা বদলের পরামর্শ দিয়েছেন। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকদের স্বাস্থের কথা ভেবে যেন তাঁরা নতুন নির্দেশিকা জারি করে।

অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন অনলাইনে ওপেন বুক পরীক্ষা নিতে চাইছে। 

একই সঙ্গে করোনার কথা ভেবে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু করার সময়ও পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সূত্র জানাচ্ছে, অক্টোবরের আগে সম্ভবত শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে না। এই বিষয়ে নীতিনির্ধারক সংস্থা ইউজিসি খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তিত নীতিনির্দেশিকা জারি করবে। অগাস্টের মাঝামাঝি পরীক্ষার ফল বেরলে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে আরও দেরি হতে পারে।

ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা জানিয়ে দিয়েছে, তারা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পরীক্ষা জুলাই মাসে নেবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও বলে দিয়েছে, ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্কুল, কলেজ বন্ধথাকবে। 

মুম্বই আইআইটি ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, চলতি বছরে আর চিরাচরিত পদ্ধতিতে  ক্লাসই হবে না। শুধু  অনলাইনে ক্লাস হবে। চলতি সেমিস্টার পরীক্ষাও হবে না। পরের সেমিস্টার পরীক্ষা হবে, সেটাও পুরেপুরি অনলাইনে। আইআইটির তরফে জানানো হয়েছে, ছাত্রদের স্বাস্থ্য নিয়ে তাঁরা কোনও ঝুঁকি নিতে পারেন না বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। তবে তাঁদের চিন্তা গরীব ছাত্রদের নিয়ে। তাঁদের জন্য পাঁচ কোটি লাগবে বলে আইআইটি জানিয়েছে। মুম্বই আইআইটির ৬২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম, শিক্ষাবর্ষ শুরুর সময়ে ক্যাম্পাসে কোনও ছাত্রছাত্রী থাকবেন না।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)