ভারতে কবে সকলে ভ্যাকসিন পাবেন?
মোদী সরকার জানিয়েছে, এই বছরের মধ্যে সকলকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। বর্তমানে যে গতিতে টিকাকরণ চলছে, তাতে কি এটা সম্ভব?
একদিনে ৮৮ লাখ
সোমবার একদিনে ৮৮ লাখ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ভারতে। এটা একটা রেকর্ড।
পরের দিনই কমলো
মঙ্গলবার ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ৫৪ লাখ ২২ হাজার। কেন এত কম? বিরোধীদের অভিযোগ, 'ম্যাজিক সোমবারের জন্য' মধ্যপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্য ভ্যাকসিন জমিয়ে রেখেছিল। সোমবার যে দশটি রাজ্যে সব চেয়ে বেশি ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে সাতটি বিজেপি শাসিত।
লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে
মোদী সরকার জানিয়েছে, এই বছরের মধ্যেই তারা দেশের সব নাগরিককে করোনার টিকা দিতে চায়। সেক্ষেত্রে দিনে ৯৭ লাখ মানুষকে টিকা দিতে হবে। সে জায়গায় পৌঁছতে পারেনি ভারত।
অসুবিধা কোথায়
মোদী সরকার জানিয়েছে, টিকা সংরক্ষণে তাদের কোনো অসুবিধা নেই। তারা দৈনিক এক কোটি ২৫ লাখ টিকা নিরাপদে রাখতে পারবে। কিন্তু দেশে অত টিকার উৎপাদন হচ্ছে না। এখন ভারতে তিনটি টিকা দেয়া হচ্ছে। কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন এবং স্পুটনিক ফাইভ।
নতুন টিকা আসবে
ফাইজার জানিয়েছে, তাদের টিকা ভারতে অনুমোদনের শেষ পর্যায়ে আছে। এছাড়া সেরাম ইনস্টিটিউট কোভোভ্যাক্স তৈরি করবে। অদূর ভবিষ্যতে আরো দুইটি ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সরকার।
কেন ভ্যাকসিন কম
ভারতের মতো ১৩০ কোটির দেশে সকলকে ভ্যাকসিন দিতে গেলে ২৬০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন লাগবে। কোনো সন্দেহ নেই, এত ভ্যাকসিন উৎপাদন ও জোগাড় করাটা সহজ নয়। মাঝখানে আবার দেশের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকরা জানিয়েছিলেন, সরকার বেশি অর্ডার দেয়নি বলে তারা উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়ায়নি।
কবে দেয়া যাবে
এখন ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। যোগান ঠিক থাকলে এই বছরের মধ্যে বা ২০২২-এর প্রথমদিকে সকলকে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব। তবে দৈনিক গড় লক্ষ্যমাত্রা বজায় রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ।