1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত সরকারের সামনে অগ্নি-পরীক্ষা

অনিল চট্টোপাধ্যায়২১ জুলাই ২০০৮

ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তির বিরোধিতায় বাম দল সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার পরেও সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে সোমবার সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং সংসদে আস্থা ভোট চেয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/EgR9
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং (ফাইল ফটো)ছবি: AP Photo

ভারত-মার্কিন পরমাণু ইস্যুতে মনমোহন সিং সরকারের উপর আস্থা প্রস্তাব নিয়ে সোমবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সরকার ও বিপক্ষ দল এই চুক্তির সুফল ও কুফল নিয়ে বক্তব্য ও পাল্টা বক্তব্য রাখেন৷ বিতর্কের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী দুই লাইনের আস্থা প্রস্তাব পেশ করেন৷ তিনি বলেন, সরকার যখন মুদ্রাস্ফীতি এবং অন্যান্য জনকল্যাণ প্রকল্প নিয়ে ব্যতিব্যস্ত, তখন এই ইস্যুতে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা অভিপ্রেত নয়৷

বিরোধী বিজেপি দলের নেতা লালকৃষ্ণ আদবানী পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে বলেন, ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে এই প্রথম এক সংখ্যালঘু সরকার ক্ষমতায় থাকবে কি না, তার জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হল৷

আডবানীর বক্তব্য খণ্ডন করে যুক্তি, তথ্য-প্রমাণ এবং পরিসংখ্যান দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, যে সরকার আদৌ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় নি৷ সাধারণ অঙ্কের হিসেবে বাম দল সমর্থন তুলে নিলেও জোট সরকারের কাছে ২৩৭ জন সাংসদ রয়েছে এবং সমাজবাদী দলের ৩৯ জন সাংসদ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে৷ অর্থাত্ সরকার মোট ২৭৬ জন সাংসদের সমর্থনের উপর নির্ভর করতে পারে৷

পরমাণু চুক্তি নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি এক এক করে খণ্ডন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তাঁর দাবি, হাইড-অ্যাক্টের সঙ্গে এই চুক্তির কোন সম্পর্ক নেই৷ অন্যদিকে বাম জোট সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ করে৷ তৃণমূল কংগ্রেস মঙ্গলবার ভোটদানের সময় অনুপস্থিত থাকবে বলে জানিয়েছে৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, সরকার পড়ে গেলে নির্বাচন আসন্ন৷ সরকার জিতে গেলে নতুন উদ্যমে আর্থিক সংস্কার শুরু হবে - পদে পদে বাম বিরোধিতায় যা সম্ভব হয় নি৷