ভারত-নিয়ন্ত্রিত অস্থির কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে সর্বদলীয় বৈঠক
১২ জুলাই ২০১০তার আগে কারফিউ তুলে নেয়া হলেও কট্টরপন্থী হুরিয়াতের ডাকা হরতালে শ্রীনগরের জনজীবন অচল৷
দেরিতে হলেও ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠককে সমর্থন করেছে কংগ্রেস, বিজেপি,সিপিআই-এমসহ অন্যান্য দলগুলি৷ প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং-এর অনুরোধ সত্ত্বেও বৈঠকে যোগ না দেবার কারণ হিসেবে পিডিপি নেত্রি মেহবুবা মুফতি মনে করেন, ওমর আবদুল্লা সরকারের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার দরুণ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ সেনাবাহিনী ডাকার আগে উচিত ছিল শুরুতে এই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা৷ কাশ্মীরি জনগণের কাছে ওমর আবদুল্লা সরকার তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে৷ এই অভিযোগ খন্ডন করে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী ও কায়েমি স্বার্থান্বেষী শক্তিগুলি রাজ্যে গন্ডগোল পাকাতে পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে৷ তাঁর বক্তব্য, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই রাজনৈতিক সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা উচিত৷
এদিকে, কাশ্মীরের বেশিরভাগ এলাকা থেকে কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে৷ তবে বহাল আছে নিষেধাজ্ঞা৷ কিন্তু কট্টরপন্থী হুরিয়াত নেতাদের হরতালের ডাকে কাশ্মীর উপত্যকার জনজীবন অচল৷
কাশ্মীর গেজেট পত্রিকার সম্পাদক এস. ভকিল এই সর্বদলীয় বৈঠকের ফলাফলে আশাবাদী নয়৷ ডয়েচে ভেলেকে তিনি বলেন, কাশ্মিরী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সব সময় গন্ডগোল পাকাবার সুযোগ খোঁজে৷ দু বছর আগে হিন্দুদের অমরনাথ তীর্থযাত্রার সময় জমি বিতর্ক নিয়ে গন্ডগোল শুরু করে৷ কিন্তু তা ব্যর্থ হয়৷ তারপর উপত্যকায় শান্তির একটা বাতাবরণ তৈরি হয়৷ পর্যটকররা যেতে শুরু করে৷ অর্থনৈতিক তত্পরতা দেখা যায়৷ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তা পছন্দ নয়৷ মেহবুবা মুফতির পিডিপি যদি বৈঠকে যোগ দিত তাহলে একটা ইতিবাচক ফলের আশা করা যেত৷ কারণ উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলির ওপর পিডিপির ভাল প্রভাব আছে৷ পিডিপি যোগ না দেওয়ায় বাস্তব অবস্থার হেরফের হবার আশা নেই, বলেন ভকিল৷
পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারত-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা শুরু হবার মুখে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ এমাসেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা যাচ্ছেন শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে যাচ্ছেন ইসলামাবাদে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক