1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-নিয়ন্ত্রিত অস্থির কাশ্মীর উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে সর্বদলীয় বৈঠক

১২ জুলাই ২০১০

অশান্ত কাশ্মীর উপত্যকায় রাজনৈতিক সহমতের ভিত্তিতে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধান বিরোধী দল পিডিপি যোগ না দিলেও অন্যান্য ১০টি দল যোগ দেয়৷

https://p.dw.com/p/OHO5
অশান্ত কাশ্মীরছবি: AP

তার আগে কারফিউ তুলে নেয়া হলেও কট্টরপন্থী হুরিয়াতের ডাকা হরতালে শ্রীনগরের জনজীবন অচল৷

দেরিতে হলেও ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠককে সমর্থন করেছে কংগ্রেস, বিজেপি,সিপিআই-এমসহ অন্যান্য দলগুলি৷ প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং-এর অনুরোধ সত্ত্বেও বৈঠকে যোগ না দেবার কারণ হিসেবে পিডিপি নেত্রি মেহবুবা মুফতি মনে করেন, ওমর আবদুল্লা সরকারের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার দরুণ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ সেনাবাহিনী ডাকার আগে উচিত ছিল শুরুতে এই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা৷ কাশ্মীরি জনগণের কাছে ওমর আবদুল্লা সরকার তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে৷ এই অভিযোগ খন্ডন করে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী ও কায়েমি স্বার্থান্বেষী শক্তিগুলি রাজ্যে গন্ডগোল পাকাতে পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে৷ তাঁর বক্তব্য, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই রাজনৈতিক সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা উচিত৷

এদিকে, কাশ্মীরের বেশিরভাগ এলাকা থেকে কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে৷ তবে বহাল আছে নিষেধাজ্ঞা৷ কিন্তু কট্টরপন্থী হুরিয়াত নেতাদের হরতালের ডাকে কাশ্মীর উপত্যকার জনজীবন অচল৷

কাশ্মীর গেজেট পত্রিকার সম্পাদক এস. ভকিল এই সর্বদলীয় বৈঠকের ফলাফলে আশাবাদী নয়৷ ডয়েচে ভেলেকে তিনি বলেন, কাশ্মিরী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সব সময় গন্ডগোল পাকাবার সুযোগ খোঁজে৷ দু বছর আগে হিন্দুদের অমরনাথ তীর্থযাত্রার সময় জমি বিতর্ক নিয়ে গন্ডগোল শুরু করে৷ কিন্তু তা ব্যর্থ হয়৷ তারপর উপত্যকায় শান্তির একটা বাতাবরণ তৈরি হয়৷ পর্যটকররা যেতে শুরু করে৷ অর্থনৈতিক তত্পরতা দেখা যায়৷ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তা পছন্দ নয়৷ মেহবুবা মুফতির পিডিপি যদি বৈঠকে যোগ দিত তাহলে একটা ইতিবাচক ফলের আশা করা যেত৷ কারণ উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলির ওপর পিডিপির ভাল প্রভাব আছে৷ পিডিপি যোগ না দেওয়ায় বাস্তব অবস্থার হেরফের হবার আশা নেই, বলেন ভকিল৷

পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারত-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা শুরু হবার মুখে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ এমাসেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা যাচ্ছেন শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে যাচ্ছেন ইসলামাবাদে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক