1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-অ্যামেরিকা

৬ জুন ২০১২

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনির মধ্যে আলোচনা হয় অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অঙ্গ হিসেবে ভারতকে সমরাস্ত্র সরঞ্জাম সরবরাহের বিষয় নিয়ে৷

https://p.dw.com/p/158uG
U.S. Secretary of Defense Leon Panetta, second left, speaks with Indian Prime Minister Manmohan Singh during a meeting at the Prime Minister's office in New Delhi, India, Tuesday, June 5, 2012. (AP Photo/Jim Watson, Pool)
ভারত সফরকালে লিওন প্যানেটার বৈঠকছবি: dapd

নয়দিনের এশিয়া সফরের শেষ পর্বে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা আজ প্রতিনিধি স্তরে বৈঠক করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনির সঙ্গে৷ আলোচনায় উঠে আসে কৌশলগত দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতার যাবতীয় বিষয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে যার শীর্ষে থাকে ভারতকে সমরাস্ত্র সরবরাহ করা, আফগানিস্তান-পাকিস্তান পরিস্থিতি, চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব-প্রতিপত্তির মোকাবিলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশলগত নীতিতে ভারতকে পাশে চাওয়া ইত্যাদি৷ ভারতের বক্তব্য, দক্ষিণ চীন সমুদ্রে চীনের ক্রমবর্ধমান নৌবাহিনীর উপস্থিতির প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক জলপথে সকলের জন্য অবাধ যাতায়াতের সুবিধা৷

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ১২৬টি অত্যাধুনিক জঙ্গি বিমান বিক্রির বরাত ফস্কে যাওয়ায় অন্য সমর উপকরণ ভারতকে বিক্রি করতে তৎপর আমেরিকা৷

যেসব বিষয়ে ভারত মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তার মধ্যে আছে প্রতিরক্ষা গবেষণাগারে দ্বৈতকাজে ব্যবহারযোগ্য উপকরণ সরবরাহে ওয়াশিংটনের অসম্মতি৷ প্যানেটা এর প্রতিবিধানে উচ্চ-প্রযুক্তি সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন৷

২০১৪ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী সরে যাবার পর আফগানিস্তানে ভারতের বড় ভূমিকা পালনের ওপর জোর দেন প্যানেটা৷ তবে এযাবৎ ভারত যে ভূমিকা পালন করছে, তারও প্রশংসা করেন মার্কিন পক্ষ৷ কিন্তু আফগানিস্তানে সেনা প্রত্যাহার, তালেবানদের সঙ্গে আমেরিকার গোপন আলোচনা এবং তা'তে পাকিস্তানের ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত৷ পাশাপাশি পাক-ভূখন্ডে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা ধ্বংস করে এই অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়ানোর কথা বলা হয়৷

চীনের অতিসক্রিয়তা ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কতটা পাশে পাবে, সেসম্পর্কে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানি উদয়ন বন্দোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে মার্কিন আধিপত্য এবং চীনের আধিপত্য, চীন-পাকিস্তান আঁতাত এই অবস্থানে মার্কিন আধিপত্য ভারতের পক্ষে অনুকূল হতে পারে৷ তার মানে এই নয়, মার্কিন পুঁজির অবাধ প্রবেশ-দ্বার ভারত খুলে দেবে৷ পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতির মধ্যে রাখতে হবে একটা ভারসাম্য৷

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিহত মার্কিন সেনাদের দেহাবশেষ উদ্ধারের অনুমতি দিয়েছে নতুনদিল্লি৷

প্রতিবেদন. অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য