ভানু বাগ এলাকায় বোমা সম্রাট নামে পরিচিত ছিল
একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। এগরায় বেআইনি কারখানায় কি তৈরি হতো বোমা? গ্রাম ঘুরে ডিডাব্লিউ-র তদন্তমূলক রিপোর্ট।
মিনতি বাগ
এগরায় যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই গ্রামেরই বাসিন্দা মিনতি। ডিডাব্লিউকে তিনি জানিয়েছেন, বরাবর ওই কারখানাটিকে ফুলঝুরির কারখানা হিসেবে জেনে এসেছেন তিনি। এর বাইরে আর কিছু জানেন না।
আরতি পাল
এই বাজির কারখানা অনেক বছর ধরে আছে। মৃত ভানু বাগ এই এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন।গ্রামের সব অনুষ্ঠানে বাজি পোড়ানো হতো। কিন্তু কারখানার ভিতরে কখনো ঢুকিনি।
মধুমিতা ওঝা
এখানে বাজি বানানো হতো অনেক বছর ধরে। লোকের মুখে শুনেছি, বাজি ছাড়াও বোমা তৈরি হতো এখানে। অনেকেই একথা বলতেন। আমার বাড়ি পাশের গ্রামে।
শত্রুঘ্ন মাইতি
সবাই জানে এখানে হাত বোমা বানানো হতো। বিভিন্ন পুজোয় এবং চড়কে হাত বোমা ফাটানো হতো। হাতবোমা টেস্ট করতে গিয়েই বারুদের স্তূপে আগুন লেগেছে বলে শুনেছি।
রবীন্দ্র বাগ
এই কারখানা থেকে প্রত্যেকদিন সকালে ৭টা ৪৫ এর বাসে হাওড়ায় মাল যেত। সারা বছর কি বাজির সাপ্লাই হয়? তাহলেই বুঝুন আর কোন মাল যেত? ভানু যে কাজ করেছে তার জন্য আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে।
রতন বাগ
এদের বাজি কলকাতা হয়ে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়তো বলে শুনেছি। এখানে বেশ কিছু পুরনো ধরনের বাজি তৈরি হতো। তাই অনেক চাহিদা ছিল। ভানু বাগের জল বোমা বিখ্যাত ছিল। ভানু তৃণমূলের সদস্যও ছিলেন।
মানিক পাত্র
সাধারণ আতসবাজিতে কখনো এমন বিস্ফোরণ হয়? এখানে বড় ধরনের কিছু তৈরি হতো। ২০০৩ সাল থেকে এই কারখানা দেখছি। শুনেছি এখানে বোমাই বেশি বানানো হতো।
বিষ্ণুপদ জানা
এই বেআইনি কারখানাটি ২৫ বছর ধরে চলছে। সকলের নাকের ডগায়। কেউ কোনোদিন প্রশ্ন করার সাহস পায়নি। আতসবাজি তৈরি হতো। কিন্তু এখানে যে মানুষ মারার বোমা তৈরি হতো, তা এই গ্রামে সবাই জানেন। কেউ মুখ খোলার সাহস পাননি।
সজল কর
২০০২ সাল থেকে এদের ব্যবসার রমরমা। এখানে সব ধরনের বোমাই বানানো হতো। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সেই বোমা চালান হতো। যত দিন গেছে, এদের ব্যবসা ততই ফুলে ফেঁপে উঠেছে। কলকাতা বীরভূমে নিয়মিত মাল যেত। পুলিশকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেওয়া হতো বলে শুনেছি। ভানু এখানে বোমাসম্রাট বলে পরিচিত ছিল।