1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিআইবি’র প্রতিবেদন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৮ ডিসেম্বর ২০১২

বাংলাদেশের সেবা খাতে দুর্নীতির পরিমাণ ৩০ ভাগ কমলেও দুর্নীতি বন্ধ হয়নি৷ আর দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে শ্রম অভিবাসন৷ এর পরেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান৷ টিআইবি’র সেবা খাত নিয়ে জারিপে উঠে এসেছে এ তথ্য৷

https://p.dw.com/p/17AN2
ছবি: DW

বাংলাদেশের সেবা খাত নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি'র এবারের জরিপ ছিল তুলনামূলক৷ মোট ১৩টি সেবা খাতের দুর্নীতির তুলনা করা হয় ২০১০ সালের সঙ্গে৷ ২০১১ সালের মে মাস থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলার সেবা খাত নিয়ে জরিপটি চালানো হয়৷ তাতে দেখা যায়, ২০১০ সালে তুলনায় বর্তমান সময়ে সেবা খাতে দুর্নীতি সার্বিকভাবে ৩০ ভাগ কমেছে৷ তবে টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, এতে প্রমাণ হয় না যে দুর্নীতির ভয়াবহতা কমেছে৷

১৩টি সেবা খাতের মধ্যে দুর্নীতিতে শ্রম ও অভিবাসন খাত রয়েছে শীর্ষে৷ এরপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারিক সেবা এবং ভূমি প্রশাসনের অবস্থান৷ জরিপে দেখা যায় যে, সেবা পেতে মানুষকে কোনো না কোনোভাবে অর্থ খরচ করতে হয়৷ ৫৩.৩ শতাংশ মানুষ সরকারি সেবা পেতে গড়ে ১৩ হাজার টাকা খরচের কথা বলেন৷ আর শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে এই সেবা দানের সঙ্গে জড়িতদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবও অর্থ আদায় করে থাকেন৷ টিআইবি'র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলনে, সরকারি সেবা নিতে মানুষের খরচ আগের চেয়ে বেড়ে গেছে৷ তাই হয়ত আগের চেয়ে কম মানুষ সেবা নিতে যান৷ আর সে কারণেই হয়ত সার্বিক দুর্নীতি কমেছে৷

সুলতানা কামাল বলেন, বড় বড় খাতে দুর্নীতির ভয়াবহতা অবশ্য কমেনি৷ আর যেখানে কমে এসেছে সেখানেও কমেনি ভয়াবহতা৷

জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে যে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়াই যথেষ্ঠ নয়৷ সাধারণ মানুষকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য