বড় পর্দার এলিয়েনরা
কখনো মানুষের বন্ধু আবার কখনোবা চরম শক্রু হিসেবে চলচ্চিত্রে হাজির হয়েছে ভিনগ্রহের প্রাণীরা৷ পুরো পৃথিবী ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে এমন এলিয়েনদেরও দেখা মিলেছে সিনেমায়৷
বাড়ি ফেরো
এলিয়েনের বিখ্যাত গল্প নিয়ে ‘ই.টি. দ্য এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল’ চলচ্চিত্রে ই.টি. এবং ইলিয়ট নামের এক তরুণের বন্ধুত্বকে চিত্রিত করা হয়েছে৷ ই.টি. পৃথিবীতে টিকতে না পেরে তার বাড়ি কল করার চেষ্টা করে৷ শেষমেষ কলটির উত্তর আসলে সে বাড়ি ফিরে যায়৷ ১৯৮২ সালের এই চলচ্চিত্রটি অতিরিক্ত দৃশ্য সংযোজন করে আরো দুইবার প্রকাশ করা হয়৷
কফিপ্রেমি এলিয়েন
সরিসৃপ আকৃতির ব্যক্তি এলিয়েন ও তার বন্ধুরা হলো ‘মেন ইন ব্ল্যাক’ চলচ্চিত্রের সবথেকে হাসিখুশি প্রাণী৷ তারা বাজে কথা বলে ও কফিতে আসক্ত হলেও অলস নয়৷ এগুলো সময়ে সময়ে বেশ উপকারী হয়ে উঠে যদি তাদের জন্য কফি প্রস্তুত করা থাকে৷
এলিয়েন ফিরে এসেছে
১৯৮৬ সালে ‘অ্যালিয়েনস’ সিরিজের চরম জনপ্রিয় দ্বিতীয় সিক্যুয়াল আসে৷ সেখানে প্রথম চলচ্চিত্রে বেঁচে থাকা একমাত্র এলিয়েনকে কয়েক দশক পর ফিরে পাওয়া যায়৷
মারামারিতে এলিয়েন
২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘এলিয়েন ভারসেজ প্রেডিটর’ চলচ্চিত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি প্রজাতির ‘এলিয়েন’ এবং ‘প্রিডেটর’কে মানুষ ছাড়াও একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা যায়৷
অদ্ভুত চেহারার ‘আলফ’
এলিয়েন লাইফ ফর্মের বন্ধুত্বপূর্ণ কিন্তু অদ্ভুত চেহারার প্রাণী ‘আলফ’ ১৯৯৬ সাল থেকে টিভির পর্দায় রয়েছে৷
খারাপ কবি
কুৎসিত, বদমেজাজী হলেও ঘৃণ্য নয়, এটি আমলাতান্ত্রিক ও অনুভুতিহীন৷ ডগলাস অ্যাডামসের ‘হিচিকারস গাইড টু দ্য গ্যালাক্সি’-তে এমন এলিয়েনের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, যেগুলো কবিতায় খারাপভাবে উপস্থাপিত হয়েছে৷
ভিলেন যখন হিরো
‘মেগামিন্ড’ হলো শহরের খারাপ একজন এলিয়েন৷ ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ড্রিম ওয়ার্কস’ চলচ্চিত্রে সে নানা ঘটনা প্রবাহর মধ্য দিয়ে সুপার হিরোতে পরিণত হয়৷
ধ্বংস কর সব
‘ডার্ক ব্রিড‘ এর এলিয়েনদের সহজ লক্ষ্য হচ্ছে ভিনগ্রহ আক্রমণ করে সমস্ত বাসিন্দাকে ধ্বংস করে দেওয়া৷ মহাকাশচারী কাটার এবং তাঁর দলকে এলিয়েনদের বিরুদ্ধে লড়াই করে বাঁচে থাকতে হয়৷
মার্সিয়ান আক্রমণ
বিশাল মস্তিষ্কযুক্ত এই ভঙ্গুর কঙ্কাল সদৃশ্য এলিয়েনটি পরিচালক টিম বার্টনের কল্পিত প্রাণী৷ তারা পৃথিবীতে আক্রমণ করে সব প্রাণীকে ধ্বংস করতে চায়৷ এনিয়ে এগিয়ে চলে সিনেমাটি৷
এরিয়া ৫১
অঞ্চল ৫১ থেকে এলিয়েনটিকে আটকের পর বন্দি করা হয়৷ এ সময় সেটিকে তার ‘জ্ঞান’ প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়৷