ব্লাটার থাকতে ফিফার যত কেলেঙ্কারি
গত ১৭ বছর ধরে ফিফার নেতৃত্বে আছেন সেপ ব্লাটার৷ তার এই মেয়াদকালে ফিফা বেশ কয়েকবার কেলেঙ্কারির মুখে পড়েছে৷ এখানে তার কয়েকটি উল্লেখ করা হলো৷
১৯৯৭: বিশ্বকাপ বিপণন চুক্তি থেকে ঘুস
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগেই এক ঘুস কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সেপ ব্লাটার৷ তাঁর আগের প্রেসিডেন্ট জোয়াও আভেলাঞ্জ এবং তাঁর সাবেক জামাতা রিকার্ডো টেশেরার সঙ্গে বিশ্বকাপের বিপণন সত্ত্ব সংক্রান্ত এক ঘুস কেলেঙ্কারিতে ব্লাটারের নামও এসেছিল৷ সেসময় ফিফার মহাসচিব ছিলেন তিনি৷
১৯৯৮: আফ্রিকার প্রতিনিধিদের ঘুস
ফ্রান্সের বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সেপ ব্লাটার৷ অভিযোগ আছে, সেসময় প্যারিস হোটেলে অবস্থানরত আফ্রিকার প্রত্যেক প্রতিনিধিকে পঞ্চাশ হাজার মার্কিন ডলার করে ঘুস দেয়া হয়েছিল৷ ব্লাটার অবশ্য এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন৷
২০০৬: টিকিট বিক্রির দায়িত্বে ভাইস প্রেসিডেন্ট
২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার সুযোগ পায় ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো৷ সেদেশের জ্যাক ওয়ার্নার তখন ফিফার ভাইস প্রেসিডেন্ট৷ তার পরিবারের সদস্যরা সেবার সেদেশে টিকিট বিক্রির সুযোগ পায় এবং নয় লাখ মার্কিন ডলারের মতো কমিশন থেকে আয় করে, যা আসলে অনুচিত৷
২০১০: রাশিয়া এবং কাতারে বিশ্বকাপ
২০১৮ এবং ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পর্যায়ক্রমে রাশিয়া এবং কাতারকে দেয়া হয়৷ কিন্তু এই ঘোষণার আগেই ফিফার দুই কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়৷ রাশিয়া এবং কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ দেয়া নিয়ে বিতর্ক এখনো চলছে৷
২০১১: ব্লাটারের প্রতিদ্বন্দ্বীর পদত্যাগ
সেবছর ফিফার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ব্লাটারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হন কাতারের মোহাম্মেদ বিন হাম্মাম৷ কিন্তু ভোটাভুটির আগেই ক্যারাবিয়ানরা হাম্মামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনেন৷ ফলে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন হাম্মাম৷
২০১৪: টিকিট বিক্রিতে দুর্নীতি
ব্রাজিলে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বিশ্বকাপের টিকিট বিতরনে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয় আর্জেন্টিনার ফিফা কর্মকর্তা জুলিও গ্রোডোনার বিপক্ষে৷ ২০১৪ সালের ৩০ জুলাই মারা যান তিনি৷
২০১৫: ব্যাপক ধরপাকড়
দুর্নীতির অভিযোগে ২৬ মে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৯ ফিফা কর্মকর্তাসহ ১৪ জন৷ ফিফা সভাপতি নির্বাচনের ঠিক আগে গ্রেপ্তার হলেন তাঁরা৷ এ কেলেঙ্কারির পর ফিফার বর্তমান প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি উঠলেও সে দাবি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে৷