1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেগা আর উজালা, আরো দুটি শহর বিদ্রোহীদের দখলে লিবিয়ায়

২৭ মার্চ ২০১১

আজদাবিয়ার পর এবার ব্রেগা৷ পরপর শহরের দখল নিয়ে চলেছে লিবিয়ার বিদ্রোহীরা৷ দেশের পশ্চিমাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া কর্ণেল গাদ্দাফি৷ বিদ্রোহীদের দাবি, ব্রেগা ছাড়াও উজালা আর রাস লানুফও তাদেরই দখলে৷

https://p.dw.com/p/10iCF
বিজয়ের উল্লাস বিদ্রোহীদেরছবি: AP

শনিবারও সারারাত ফরাসি বিমানের বোমা লিবিয়ায়

ফ্রান্স রবিবার সকালে জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত লিবিয়ার বিমানবাহিনীর পাঁচটি জঙ্গিজেট আর দু'টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করেছে ফরাসি বাহিনী৷ তবে এই হামলা হয়েছে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা মিসরাতা শহরটির আশপাশ অঞ্চলে৷ পশ্চিম লিবিয়ার যে অঞ্চলে গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের জোরদার লড়াই চলছে এখন৷ গত কয়েকদিন ধরে যেখানে প্রচুর বোমা ফেলছে দু'পক্ষই৷ কিন্তু মিসরাতাকে কব্জা করতে পারেনি গাদ্দাফিবাহিনী৷ তার কারণ হল পশ্চিমের জোট বাহিনীর সহায়তা৷ এছাড়া লিবিয়া সরকার জানিয়েছে, আজদাবিয়া থেকে সিরতে শহরের মধ্যে পশ্চিমের বাহিনী এখন সবচেয়ে তৎপর৷ প্রসঙ্গত, সিরতে হল সেই শহর, যেখানে গাদ্দাফিপন্থীদের দখলদারি বেশ শক্ত৷

Libyen 19.03.2011 NO FLASH
গাদ্দাফির জঙ্গিবিমান ভেঙে পড়ছে রাস লানুফের কাছে৷ছবি: AP

পশ্চিমের সমর্থনে বিদ্রোহীদের দখল ক্রমশ বাড়ছে

পশ্চিমের জোটবাহিনীর সহায়তা পাওয়ার পর থেকে স্বভাবতই গতি এসেছে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের যুদ্ধ তৎপরতায়৷ শনিবার আজদাবিয়ার দখল ছিনিয়ে নেওয়ার পর রবিবার তারা ব্রেগা আর উজালা শহরদু'টিও ছিনিয়ে নিয়েছে গাদ্দাফির হাত থেকে৷ সম্ভাবনার পথ খুলে গেছে দেখে বিদ্রোহীরা এখন তাদের সদ্য হারানো জায়গাগুলির দখল নিতে চেষ্টা করছে৷ যেমন তেলসমৃদ্ধ রাস লানুফ শহরের কথাই বলা যায়৷ বিদ্রোহীদের দাবি, সে শহরের দখল এখন তাদের হাতে কিন্তু এই দাবির কোন সঠিক ভিত্তি নেই৷ তবে, বিদ্রোহী নেতাদের বক্তব্য, পশ্চিমের সমর্থন থাকলে তারা গাদ্দাফির প্রাণভোমরা, অর্থাৎ রাজধানী ত্রিপোলি পর্যন্ত যেতে তৈরি৷ এদিকে, লিবিয়া সরকারের তরফে সরকারি মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম জানিয়েছেন, যুদ্ধে সেনা এবং সাধারণ মানুষ দুইই নিহত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে৷ যদিও কোন সংখ্যার উল্লেখ তিনি করেন নি৷

বিদ্রোহীদের হাতে কী অস্ত্রও তুলে দিচ্ছে জোটবাহিনী?

এই বিষয়টাতে কিছুটা খটকা রয়েছে৷ গাদ্দাফি বিরোধীদের হাতে অস্ত্র জোটবাহিনী তুলে দিচ্ছে কিনা, এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াম ফক্স বলছেন, জোটবাহিনী কোনভাবেই গাদ্দাফিবিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেবেনা৷ যদিও লিবিয়ার বিভিন্ন টার্গেটে তারা হামলা চালাবে৷ এর কারণ হিসেবে ফক্স বলেন, লিবিয়ার ওপরে জাতিসংঘের অস্ত্র সরবরাহ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ জোটবাহিনীকে তা মেনে চলতে হবে৷ প্রসঙ্গত, যুদ্ধের শুরুর দিকে এই সম্ভাবনা নিয়ে প্রচুর আলোচনা করা হয়েছিল৷ ধারণা করা হচ্ছিল, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সাহায্য করতে তাদের পাশে দাঁড়াবে জোটবাহিনী এবং অস্ত্র দিয়েও তাদের সহায়তা করবে৷ তবে কার্যক্ষেত্রে সেই বিষয়টি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি বলেই দাবি করেছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াম ফক্স৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য