1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিটের আগেই ব্রিটেনে আগাম নির্বাচন?

৭ আগস্ট ২০১৯

ব্রেক্সিটকে ঘিরে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অচলাবস্থার মাঝে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন৷ ফলে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে৷ তবে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়ানোর সম্ভাবনাও কমছে৷

https://p.dw.com/p/3NThz
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
ছবি: picture-alliance/empics/B. Lawless

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিদায় নিতে আর ৯০ দিনও অবশিষ্ট নেই৷ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বার বার বলে চলেছেন, যে কোনো মূল্যে নির্ধারিত এই তারিখে ব্রেক্সিট কার্যকর করা হবে৷ অর্থাৎ প্রয়োজনে কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করবে৷ কিন্তু ব্রিটিশ সংসদে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ কারণ সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের ঘোর বিরোধী৷ অচলাবস্থা কাটাতে প্রধানমন্ত্রী আগাম নির্বাচনের পথ বেছে নিলেও গোটা প্রক্রিয়ার জন্য হাতে যথেষ্ট সময় অবশিষ্ট নেই৷

জনসন প্রধানমন্ত্রী হবার পর ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্ক আরও শীতল হয়ে উঠেছে৷ দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে চুক্তির সম্ভাবনা বানচাল করার অভিযোগ আনছে৷ ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রিটিশ মন্ত্রী মাইকেল গোভ মঙ্গলবার বলেন, ইইউ আলোচনা করতে চাইছে না বলে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত৷

অন্যদিকে ইইউ কমিশনের এক মুখপাত্র বলেছেন, ব্রিটেন নিজস্ব অবস্থান খোলসা করে আলোচনা করতে চাইলে দ্বার পুরোপুরি খোলা রয়েছে৷ তবে এখনো পর্যন্ত ব্রিটেন কোনো বিকল্প প্রস্তাব পেশ করে নি৷ বিশেষ করে আয়ারল্যান্ড সীমান্তে ব্যাকস্টপ নিয়ে জনসনের ঘোর আপত্তি সত্ত্বেও তাঁর সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো বিকল্প সমাধানসূত্র পেশ করে নি৷

এই অবস্থায় জনসন ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের লক্ষ্যে প্রস্তুতি আরও তরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ এর জন্য সরকার ২০০ কোটি পাউন্ডের বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে৷ ব্যাপক অর্থনৈতিক মন্দা ও অরাজকতা সম্পর্কে অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে দিলেও সরকার চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পথেই অগ্রসর হচ্ছে৷

৩ সেপ্টেম্বর সংসদের অধিবেশন শুরু হলে ব্রেক্সিটকে ঘিরে সরকারের ক্ষমতার সীমা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ একাধিক দলের ইইউ-পন্থি সংসদ সদস্যরা হয় আইন প্রণয়ন করে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পথ বন্ধ করার চেষ্টা করবেন অথবা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, সংসদে সরকারের মাত্র এক আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে৷ ক্ষমতাসীন টোরি দলের কয়েকজন সংসদ সদস্যও চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ঘোর বিরোধী৷ ফলে সরকারের পরাজয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জনসন পরাজিত হলে তাঁরা এমন এক সরকার গঠন করতে চান, যার প্রধানমন্ত্রী বোঝাপড়ার মাধ্যমে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে প্রস্তুত হবেন৷

মরিয়া হয়ে বরিস জনসন আগাম নির্বাচন ডাকতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ তবে তার জন্য সময় বড় কম৷ ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচনে জিতে আরও সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ অত্যন্ত ক্ষীণ৷ আস্থা ভোটে হেরে গেলে ১৪ দিনের মধ্যে সরকার নতুন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সুযোগ পাবে৷ সেই লক্ষ্যে ব্যর্থ হলে নতুন করে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে৷ জনসন ৩১শে অক্টোবরের পরেও আগাম নির্বাচন আয়োজন করতে পারেন৷

এসবি/কেএম (এএফপি, এপি)