1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিটের পথে বাধা

২০ নভেম্বর ২০১৮

জিব্রল্টারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ব্রেক্সিট-চুক্তির খসড়া নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে স্পেন৷ এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবিত চুক্তির প্রতি শিল্প-বাণিজ্য জগতের সমর্থন আদায় করতে পেরেছেন৷ 

https://p.dw.com/p/38YnS
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে
ছবি: Reuters/T. Melville

সবকিছু ঠিকমতো চললে আগামী ২৫শে নভেম্বর ব্রিটেন ও ২৭টি ইইউ সদস্য দেশের শীর্ষ নেতারা ব্রেক্সিট চুক্তি স্বাক্ষর করবেন৷ ব্রিটেনে প্রস্তাবিত এই চুক্তির খসড়া নিয়ে তুমুল বিতর্ক সত্ত্বেও ইইউ দেশগুলি সার্বিকভাবে সেই খসড়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে৷ ইইউ-র প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকে ব্রেক্সিট চুক্তির রূপরেখা তুলে ধরেছেন৷ বাকি সব দেশ সম্মতি জানালেও স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ বরেল জিব্রল্টারের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পষ্ট বোঝাপড়ার দাবি জানিয়েছেন৷ তাঁর মতে, খসড়া চুক্তির মধ্যে এ বিষয়ে বিভ্রান্তি রয়ে গেছে৷ ব্রেক্সিট চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই তার ফয়সালার দাবি জানিয়েছেন তিনি৷

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্পেনের ভূখণ্ডে ব্রিটেনের এই এলাকার বিষয়ে রফা না হলে স্পেনের সরকার ব্রেক্সিট চুক্তি স্বাক্ষর করবে না৷ উল্লেখ্য, ১৭১৩ সাল থেকে জিব্রল্টার উপদ্বীপ ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ স্পেন বার বার সেই এলাকার উপর কর্তৃত্বের দাবি করে আসছে৷ এমনকি ১৯৮৬ সালে স্পেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হবার সময়েও সে দেশকে বাধ্য হয়ে ব্রিটেনের কর্তৃত্ব মেনে নিতে হয়েছিল৷ ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট সংক্রান্ত গণভোটে সেখানকার প্রায় ৯৬ শতাংশ ভোটার ইইউ-তে থেকে যাবার পক্ষে রায় দিলেও ব্রিটেনের সঙ্গে তাদেরও ইইউ ত্যাগ করতে হবে৷

ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়ায় বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সত্যি কিছু অস্পষ্টতা রয়ে গেছে৷ ব্রিটেনের জলসীমায় ইইউ দেশের জেলের মাছ ধরার অধিকার, জিব্রল্টারের ভবিষ্যৎ, ব্রিটেন ও ইইউ-র মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সম্পর্কের সময়সীমা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ঐকমত্যের প্রয়োজন রয়েছে৷ আগামী কয়েক দিনে কোনো বোঝাপড়া সম্ভব না হলে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা সমাধানসূত্রের দিশা দেখাবেন, এমনটাও আশা করা হচ্ছে৷  

এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে নিজের দেশে সার্বিকভাবে ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়ার প্রতি সমর্থন আদায় করতে ব্যস্ত৷ জিব্রল্টারসহ অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার সময় তাঁর নেই৷ প্রাথমিক সমর্থন আদায় করে ইইউ-র সঙ্গে দরকষাকষির মাধ্যমে চূড়ান্ত চুক্তির কাঠামো স্থির করতে চান তিনি৷ সোমবার শিল্প-বাণিজ্য জগতের শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি ব্রেক্সিট চুক্তির প্রতি সমর্থন আদায় করতে পেরেছেন৷ আগামী মার্চ মাসে কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউ ত্যাগ করলে ব্রিটেনে যে অরাজকতার আশঙ্কা করা হয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষরিত ও সংসদে অনুমোদিত হলে সেই ঝুঁকি দূর করা সম্ভব হবে বলে মে দাবি করছেন৷ ২০২২ সালে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনের আগেই অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা অবসান করে ইইউ-র সঙ্গে স্থায়ী বোঝাপড়ার অঙ্গীকার করেন তিনি৷

ব্রেক্সিট খসড়া চুক্তির প্রতি সমর্থন আদায় করতে প্রধানমন্ত্রী মে অভিবাসনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবার বিষয়টি তুলে ধরছেন৷ তবে ব্রিটেনে ইইউ সদস্য দেশের নাগরিকদের বসবাসের অধিকার শেষ হলেও প্রয়োজনীয় দক্ষ কর্মী আনার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবেন না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷ নতুন কাঠামোয় প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে এমন কর্মী আনা সম্ভব হবে বলে শিল্প-বাণিজ্য জগতকে আশ্বাস দিয়েছেন টেরেসা মে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)