1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রতিবাদ

১২ জুলাই ২০২১

ঢাকায় ব্রিটেনের হাই কমিশনারকে ডেকে সম্প্রতি প্রকাশিত মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে হতাশার কথা তুলে ধরেছে সরকার৷ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ‘কোনো উন্নতি হয়নি' বলে উল্লেখ করা হয়৷

https://p.dw.com/p/3wMV1
ছবি: Getty Images

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, রোববার ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার জাবেদ প্যাটেলকে তলব করার কথা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) গত বৃহস্পতিবার ২০২০ সালের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ গতবছর বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে ‘সার্বিক কোনো উন্নতি হয়নি' বলে সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়৷

রাজনৈতিক পরিবেশ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে সেখানে৷ বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্বাধীনতা ২০২০ সালে ‘নিয়ন্ত্রিত ছিল' মন্তব্য করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে কারামুক্তির প্রসঙ্গে বলা হয়, "বাড়িতে থেকে চিকিৎসা ও বিদেশ না যাওয়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে গত বছর মার্চে ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়াকে জেল-মুক্তি দেয় সরকার৷ সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়, ২০২০ সালের পুরো সময় তিনি ঢাকায় গৃহবন্দি ছিলেন৷''

খালেদা জিয়াকে সেখানে ‘গৃহবন্দি' বলার প্রতিবাদ জানানোর কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারকে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থাকে ‘গৃহবন্দিত্ব' হিসাবে বর্ণনা করা বিভ্রান্তিকর৷

"তার কাছে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার দণ্ডবিধি-১৮৯৮ অনুসারে ২০২০ সালের মার্চে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা এবং বিদেশ না যাওয়ার শর্তে তাকে ‘মুক্তি' দিয়েছে৷ প্রাথমিকভাবে তার মুক্তির মেয়াদ ছিল ছয় মাস এবং পরে ২০২০ সালে সেপ্টেম্বর এবং ২০২১ সালের মার্চে  দুই দফায় তা বাড়ানো হয়৷''

 ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারকে বলা হয়েছে, এ ধরনের আইনি বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তৈরি হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যেন পরামর্শ করা হয়৷ এবং বাংলাদেশ সরকার এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নিয়ে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর' বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্যও ব্রিটিশ দূতকে পরামর্শ দেওয়া হয়৷ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যা নিয়েও সরকারের উদ্বেগের কথা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়৷

প্রতিবেদনে ব্যবহার করা কিছু ‘পরিভাষা' আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের মতৈক্যে কিংবা দেশীয় আইনে স্বীকৃত নয় বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়৷ আলোচনার পর হাই কমিশনার জাবেদ প্যাটেল প্রতিবেদনের বিষয়টি এফসিডিও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানিয়েছেন৷

ব্রিটিশ হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের ডেকে এই আলোচনা করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উইংয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য