1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনের আইন-খেলাপি তকমার বিরোধিতা করলো লর্ডস

১০ নভেম্বর ২০২০

আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে জনসন সরকারের জাতীয় আইনের খসড়ার তীব্র বিরোধিতা করলো ব্রিটেনের সংসদের উচ্চ কক্ষ৷ ইইউ-র সঙ্গে বোঝাপড়ার শেষ সুযোগের আগে চাপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷

https://p.dw.com/p/3l5Lu
ছবি: picture-alliance/empics/S. Rousseau

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দিনকাল ভালো যাচ্ছে না৷ মার্কিন নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের ফলে সে দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির পথ আরও কঠিন হয়ে উঠেছে৷ জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে জনসনের প্রতি তাঁর অতীতের নেতিবাচক মনোভাব কাটানো কঠিন হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তির জন্য শেষ চেষ্টার মাত্র কয়েক দিন আগে এমন পরিস্থিতি জনসনের জন্য মোটেই সুখকর হচ্ছে না৷ তার উপর সোমবার ব্রিটিশ সংসদের উচ্চ কক্ষ সোমবার তাঁর সরকারের বিতর্কিত আইনের তুমুল বিরোধিতা করেছে৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছেদ চুক্তির শর্ত ভেঙে জনসনের সরকার উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের জন্য একতরফা আইন প্রণয়ন করতে চায়৷ এমন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করবে জেনেও সংসদের নিম্ন কক্ষ সেই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে৷ উচ্চ কক্ষ সেই পথে বাধা সৃষ্টি করতে না পারলেও সেখানে পরাজয়ের যথেষ্ট প্রতীকী মাত্রা রয়েছে৷ ‘ইন্টারনাল মার্কেট বিল’ পাস হলে উত্তর আয়ারল্যান্ডে ভঙ্গুর শান্তি প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কা রয়েছে৷ এমনকি আবার হিংসাত্মক সংঘাত শুরু হতে পারে, এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ৷

সরকার এই বিতর্কিত আইন কার্যকর করলে আন্তর্জাতিক আইন ভাঙার দায়ে ব্রিটেনের ভাবমূর্তির অপূরণীয় ক্ষতি হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সংসদের উচ্চ কক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ৷ এমনকি জনসনের রক্ষণশীল দলের কয়েকজন বিশিষ্ট সংসদ সদস্যও খসড়ার বিরোধিতা করেছেন৷ আইরিশ বংশোদ্ভূত জো বাইডেন আগেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যে আয়ারল্যান্ডের শান্তি প্রক্রিয়া বিপন্ন করে, এমন কোনো পদক্ষেপ তিনি পছন্দ করবেন না৷

এমন প্রেক্ষাপটে ব্রিটেন ও ইইউ-র মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সংক্রান্ত চলমান আলোচনা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বোঝাপড়া সম্ভব না হলে আগামী ১লা জানুয়ারি কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রিটেন ইইউ ত্যাগ করবে৷ সে ক্ষেত্রে উত্তর আয়ারল্যান্ড ও আইরিশ প্রজাতন্ত্রের স্থলসীমানায় নিয়ন্ত্রণ চালু করতে হবে, যা শান্তি প্রক্রিয়ার মৌলিক ভিত্তি নষ্ট করে দেবে৷ জনসন সরকারের বিতর্কিত আইন কার্যকর হলে সীমান্তের দুই প্রান্তের মধ্যে বাণিজ্য বাধার মুখে পড়বে৷

শেষ মুহূর্তে ব্রিটেন ও ইইউ-র মধ্যে বোঝাপড়া সম্ভব হলেও ব্রিটিশ সরকারের বিতর্কিত আইন সেই চুক্তি অনুমোদনের পথে বাধা সৃষ্টি করবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন কোভেনি৷ তাঁর মতে, ব্রিটেন অতীতের চুক্তি ভাঙার মাঝে ইইউ নতুন চুক্তি অনুমোদন করতে পারে না৷ এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, আস্থার দাম রয়েছে৷

ইইউ-র প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে শেষ পর্যায়ের আলোচনার জন্য রবিবার লন্ডনে এসে পৌঁছেছেন৷ সোমবার দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ এখনো জটিল বিষয়গুলি সম্পর্কে মতপার্থক্য কাটানো সম্ভব না হলেও বোঝাপড়ার জন্য রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এপি)