ব্রিটেনে করোনার চেয়ে ‘দ্রুতগামী’ পরীক্ষা
নতুন ধরনের করোনা ভাইরাসের দেখা মিলেছে ব্রিটেনে৷ আরো দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম সেই ভাইরাসকে রুখতে তার চেয়েও দ্রুত পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটেন৷ দেখুন ছবিঘরে...
ভাইরাস এলো সাউথ আফ্রিকা থেকে
হঠাৎ করেই ব্রিটেনে আবার করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে৷ সংক্রমিতদের অনেকেই হয় সাউথ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন, অথবা কোনোভাবে সাউথ আফ্রিকা ফেরত কারো সংস্পর্শে গিয়েছিলেন৷ তাই দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম এই ভাইরাসকে রুখতে মানুষের ঘরে ঘরে করোনা পরীক্ষার যন্ত্র নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশকর্মীরা৷ ওপরের ছবিটি ওয়কিং অঞ্চলের৷
তারা সাউথ আফ্রিকাফেরত
নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে এমন ১১ জনকে পাওয়া গেছে, যারা সাউথ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন বা সাউথ আফ্রিকা থেকে ফেরা কারো সংস্পর্শে গিয়েছিলেন৷ সেই ১১ জনের এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে সবার করোনা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ৷ ছবিতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের রেখে যাওয়া করোনা পরীক্ষার যন্ত্র তুলে নিচ্ছেন এক গৃহিনী৷
ওরা ১১ জন
একটা দেশে ১০৫ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়া তেমন বড় কোনো খবর নয়৷ তবে ব্রিটেনে এখন এই সংখ্যাটাই দুশ্চিন্তার, কেননা দেখা গেছে, ১০৫ জনের মধ্যে ১১ জনের দেহেই বাসা গেঁড়েছে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস৷
লক্ষ্য ৮০ হাজার
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্তত ৮০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করতে হবে, তাই এভাবে টেস্টিং কিট নিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷
সার্স-কোভিড-২
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা নতুন ধরনের এই ভাইরাসের নাম দেয়া হয়েছে সার্স-কোভিড-২৷ ছবিতে ইলিং হাই স্ট্রিটের বাস স্ট্যান্ড এলাকা৷ লন্ডনের দক্ষিণের এই এলাকাতেই প্রথম এই নতুন ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়৷
ইউরোপে ভয়বহ অবস্থায় ব্রিটেন
ব্রিটেনে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ লাখ মানুষ৷ তাদের মধ্যে অন্তত এক লাখ ছয় হাজার মানুষ মারা গেছেন৷ ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এখন ব্রিটেনের অবস্থাই সবচেয়ে খারাপ৷
প্রশিক্ষণ
এক দিনের মধ্যেই করতে হবে পরীক্ষা৷ তাই একবেলা পরীক্ষার যন্ত্র দিয়ে আরেক বেলা তা নিতে আসেন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ সুতরাং ঝটপট শিখে নিতে হয় যন্ত্রটি ব্যবহারের প্রক্রিয়া৷ রাস্তায় দাঁড়িয়ে একজনকে তা-ই বুঝিয়ে দিচ্ছেন এক স্বাস্থ্যকর্মী৷