ব্রাসেলস হামলার ‘মুখ্য চরিত্র’ যারা
ব্রাসেলসের মেট্রো স্টেশন এবং বিমানবন্দরে তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেটের’ হামলার প্রথম বর্ষপূর্তি হচ্ছে চলতি সপ্তাহে৷ এই হামলার পেছনের মুখ্য চরিত্রগুলোর কথা থাকছে ছবিঘরে৷ ব্রাসেলসে সেই হামলায় প্রাণ হারান ৩২ ব্যক্তি৷
বিমানবন্দরে হানা
গত বছরের ২২ মার্চ সকালে ইব্রাহিম এল বাকরাওয়ি এবং নাজিম লাচরাওয়ি ব্রাসেলসের কেন্দ্রীয় বিমানবন্দরের আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়৷ ২০১৫ সালে সিরিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিল ২৯ বছর বয়সি বাকরাওয়ি৷ ফলে কর্তৃপক্ষ তার ব্যাপারে অবগত ছিল৷ অন্যদিকে ২৪ বছর বয়সি লাচরাওয়ি অতীতে সিরিয়ায় যুদ্ধ করেছিল৷ ২০১৫ সালের নভেম্বরে প্যারিস হামলায় ব্যবহৃত বোমা সে তৈরি করেছিল বলেও ধারণা করা হয়৷
মেট্রো স্টেশনে হামলা
সেদিন সকালে এক ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ব্রাসেলসের মালবেক মেট্রো স্টেশনে একটি বিস্ফোরণ ঘটে৷ বাকরাওয়ির ২৭ বছর বয়সি ভাই খালিদ এল বাকরাওয়ি সেই হামলা চালিয়েছিল৷ আরো কয়েক জিহাদিকে নিরাপদ আস্তানের সন্ধান দিতে লাচরাওয়িকে সহায়তাও করেছিল সে৷
‘ম্যান ইন দ্য হ্যাট’
মোহামেদ আবরিনি, যে কিনা ‘ম্যান ইন দ্য হ্যাট’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল, বিমানবন্দরে নিজের আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যর্থ হয়৷ হামলার পর ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়৷ আবরিনি বিমানবন্দর থেকে হেঁটে পালিয়ে যায় এবং ব্রাসেলসের কেন্দ্রস্থলে গিয়ে গায়েব হয়ে যায়৷ মালবেকে বড় হওয়া ৩২ বছর বয়সি আবরিনি হচ্ছে প্যারিসে হামলা চালানো জিহাদি দলের একমাত্র জীবিত সদস্য সালাহ আবদেসালামের বাল্যবন্ধু৷
আরেকটি ব্যর্থ হামলা
ওসামা ক্রেয়েমের আইনজীবী ভিনসেন্ট লুরকিন আদালতের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন৷ ক্রেয়েম আত্মঘাতী হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়৷ খালিদ এল বাকরাওয়ির সঙ্গে তাকে বিশাল ব্যাকপ্যাকসহ মেট্রো স্টেশনে দেখা গিয়েছিল৷ ২০১৫ সালে শরণার্থীদের সঙ্গে মিশে সিরিয়া থেকে ইউরোপে আসে ক্রেয়েম৷ এপ্রিলের শুরুতে ক্রেয়েম এবং আবরিনিকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় পুলিশ৷
আরো গ্রেপ্তার
ব্রাসেলসে বিমানবন্দর ও ট্রেন স্টেশনে হামলার পর সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে পুলিশ৷ এ সব হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সেসময় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ৩২ বছর বয়সি স্মাইল ফারিসি এবং ২৮ বছর বয়সি বিলাল এল মাখুখিকে, যারা এখনো বন্দি আছে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র মনে করা হয়৷ ফারিসি মেট্রো হামলাকারীদের জন্য নিরাপদ আস্তানা তৈরি করেছিল বলে ধারণা করা হয়, আর মাখুখির সঙ্গে ইব্রাহিম এল বাকরাওয়ির সম্পর্ক ছিল৷
হামলার নির্দেশ আসলে কে দিয়েছিল?
ফেডারেল প্রসিকিউটর ফ্রেডরিক ফন লেউ বিশ্বাস করেন যে, ব্রাসেলসে হামলার নির্দেশ ইসলামিক স্টেটের কোনো ঊধ্বর্তন কর্মকর্তার কাছ থেকে এসেছিল৷ তদন্তকারীরা বেলজিয়ান-মরোক্কান উগ্রপন্থি ওসামা আটারকে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে সনাক্ত করেছেন৷ আটার ইরাকে মার্কিন কারাগারে বন্দি ছিল৷ বিমানবন্দরের হামলাকারীদের নিরাপদ আস্তানার পাশে পাওয়া এক ল্যাপটপ ঘেঁটে দেখা গেছে, আটারের সঙ্গে হামলাকারীদের যোগাযোগ ছিল৷