ব্যাঙ নিয়ে ব্যঙ্গ!
উনিশ শতকের দৈনন্দিন জীবনের কিছু ছবি নিয়ে এক অভিনব জাদুঘর৷ সুইজারল্যান্ডের ব্যাঙের জাদুঘরে ইতিহাসের সাথে মিলেছে এই উভচর প্রাণী৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
জীবন থেকে নেওয়া...
সুইজারল্যান্ডের এস্তাভাইয়ে লে লাক শহরে রয়েছে এক আশ্চর্য জাদুঘর৷ উনিশ শতকে সেখানকার স্থানীয় মানুষদের জীবন কেমন ছিল, তা তুলে ধরতেই ফ্রাসোঁয়া পেরিয়ে তৈরি করেছেন এই জাদুঘর৷ কিন্তু মজার বিষয়, সেখানে নেই কোনো মানুষের মূর্তি৷ মানুষের বদলে রয়েছে ১০৮টি তুলোভরা ব্যাঙ! ব্যাঙদের এই ছবিতে দেখুন কীভাবে সে সময়ে বিলিয়ার্ডস খেলা হতো৷
কব্জি ডুবিয়ে...
উনিশ শতকের শহুরে বাবুদের ছেড়ে এই ব্যাঙদের দেখুন! কীভাবে তখনকার নেতারা টেবিল কাঁপাতেন, তারই এক ঝলক এই ছবিতে৷
কাঠবেড়ালি, কাঠবেড়ালি...
দুশ’ বছর আগে ঘোড়ায় চেপে ঘুরে বেড়াতেন সে সময়ের উচ্চবিত্ত ব্যক্তিরা৷ এই জাদুঘরে ঘোড়ার বদলে কাঠবেড়ালির পিঠে চাপানো হলো ব্যাঙদের দর্শকদের সেই সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে৷
লেখাপড়া করে যে...
ব্যাঙ বলে কি তার লেখাপড়া করতে নেই? ওপরের ছবিতে তেমনই এক ব্যাঙ পুরোনো দিনের পালকের কলমে লিখতে ব্যস্ত৷
ছাত্র ব্যাঙ
উনিশ শতকের স্কুলের পরিবেশ ফুটিয়ে তুলতে এই জাদুঘরে রয়েছে ব্যাঙদের ক্লাসঘরের অভিনব প্রতিরূপ৷ তারই ছবি ওপরে দেওয়া৷
সপরিবারে...
দুশ’ বছর আগে পরিবারের সদস্যরা সবাই একসাথে বসে খেতেন৷ বর্তমান জীবনে সময়ের অভাব দেখা দেওয়ায় তা আর তেমন হয়ে ওঠে না৷ ওপরের ছবিতে দেখুন ব্যাঙদের গোটা পরিবারকে একসাথে খাওয়ার টেবিলে৷
একদম মানুষের মতো...
দৈনন্দিন জীবনে লেগেই থাকে টুকটাক খুনসুটি৷ দুশ’ বছর আগে সুইজারল্যান্ডেও এমনই হতো তা আঁচ করা যেতে পারে এই জাদুঘরের মূর্তিগুলি থেকে৷ ওপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে এমনই এক পরিবারের দৃশ্য৷
কেন ব্যাঙ?
সুইজারল্যান্ডের এস্তাভাইয়ে লে লাক শহরে এই জাদুঘর তৈরি হয় ১৮৫০ সাল নাগাদ৷ ব্যাঙ ও অন্যান্য উভচর প্রাণীর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থাকার কারণে প্রতিদিন হাঁটতে যাওয়ার রাস্তা থেকে মৃত ব্যাঙ কুড়োতেন এই জাদুঘরের স্রষ্টা ফ্রাসোঁয়া পেরিয়ে৷ প্রিয় এই প্রাণীর মাধ্যমেই স্থানীয় ইতিহাসকে ধরতে চেয়ে এই জাদুঘর তৈরি করেন তিনি৷