বোর্ডের ধারাভাষ্যকারের তালিকায় নেই রবি শাস্ত্রী
২৮ জানুয়ারি ২০২২ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর ধারাভাষ্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সুযোগ আপাতত তিনি পাচ্ছেন না। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডজের সঙ্গে তিনটি একদিনের ম্যাচ ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত। তিনটি একদিনের খেলা হবে গুজরাটে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ইডেন গর্ডেনসে। তার জন্য ছয়জন ধারাভাষ্যকারের তালিকা প্রকাশ করেছে ভারতীয় বোর্ড। রবি শাস্ত্রীর নাম সেখানে নেই। তালিকায় আছেন, সুনীল গাভাস্কার, দীপ দাশগুপ্ত, লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণন, হর্ষ ভোগলে, অজিত আগারকার, মুরলী কার্তিক।
রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। শাস্ত্রী খোলাখুলি বোর্ড ও সৌরভের সমালোচনা করেছেন। বিরাট কোহলি বিতর্কেও তিনি বোর্ডকে একহাত নিয়েছেন। সূত্র জানাচ্ছে, এই অবস্থায় ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে শাস্ত্রী কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বিতর্কের ঝড় উঠত। তাই বোর্ড কোনো ঝুঁকি নেয়নি। তারা ধারাভাষ্যকারদের তালিকায় শাস্ত্রীকে রাখেনি।
সূত্রকে উদ্ধৃত করে আইসিসিক্রিকেটশিডিউলডটকম জানাচ্ছে, আইপিএলের আগে আগামী দুই মাস শাস্ত্রী ধারাভাষ্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার হাতে ধারাভাষ্য দেয়া ছাড়াও আরো অনেক কাজ রয়েছে। ফলে তিনি এখন ব্যস্ত থাকবেন। পরে তিনি বিষয়টি দেখবেন। উল্লেখ্য, শাস্ত্রী আগে জানিয়েছিলেন, তিনি আইপিএলে একটি দলের কোচ হতে পারেন।
আইপিএল শুরু হওয়ার আগে ভারতীয় ক্রিকেট দল দুইটি দেশের সঙ্গে খেলবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সিরিজে শাস্ত্রীর নাম নেই। সূত্র জানাচ্ছে,শ্রীলঙ্কা সিরিজেও তার নাম ধারাভাষ্যকারদের তালিকায় থাকার সম্ভাবনা কম। শাস্ত্রী এখন নারীদের জন্য লিজেন্ডস ক্রিকেট লিগের কমিশনার হিসাবে আছেন।
কোহলির সমর্থনে শামি
২০১৯-এর নভেম্বরে শেষবার শতরান করেছিলেন বিরাট কোহলি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তারপর তিনি আর সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তাঁর ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সমাজিক মাধ্যমে এমন অভিযোগও উঠছে, কোহলি তার সেরা সময় পার হয়ে এসেছেন। এই অবস্থায় তার পাশে দাঁড়ালেন মহম্মদ শামি।
তিনি বলেছেন, শতরান না পেলে কী হবে, কোহলি নিয়মিত রান পাচ্ছেন। একাধিক অর্ধশতরান করেছেন। তাই শামি মনে করেন অভিযোগ জানাবার কোনো জায়গা নেই।
শামি মনে করেন, কোহলির এনার্জি হলো সবচেয়ে বড় জিনিস, যা টিমের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। আর তিনি হলেন বোলারদের অধিনায়ক।
জিএইচ/এসজি (এনডিটিভি, আনন্দবাজার)