1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেলারুশে ভোটের ফল মানল না ইইউ

২০ আগস্ট ২০২০

বেলারুশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল মানল না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা এ বার বেলারুশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।

https://p.dw.com/p/3hDdr
ছবি: picture-alliance/AP/D. Lovetsky

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ-র বৈঠকের সুরটা বেঁধে দিয়েছিলেন জার্মানির চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল। তিনি জানিয়ে দেন, ''বেলারুশেরনির্বাচন অবাধ ছিল না। নির্বাচনে বিপুল কারচুপি হয়েছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাই এই নির্বাচনের ফল মেনে নেয়া যায় না।''

ইইউ বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ''বেলারুশে যা হচ্ছে, তা তারা খুব ভালো করে খতিয়ে দেখছে। বেলারুশ নিয়ে ইইউ-র উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। গত ৯ অগাস্টের ফলাফল অবাধ ছিল না। তাই আমরা এই ফলাফল স্বীকার করি না।''

গত ২৬ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বেলারুশ শাসন করছেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, এই নির্বাচনেও তিনি ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছেন। তারপর থেকেই বেলারুশে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। জনতা প্রত্যেক দিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কারখানায় ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সরকারি টিভি থেকে অনেকে ইস্তফা দিয়েছেন। অনেকে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। 

দেশ ছাড়লেন ‘ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসকের’ প্রতিদ্বন্দ্বী

এই পরিস্থিতিতে ইইউ-র প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তাঁরা বেলারুশের মানুষের পাশে আছেন। নির্বাচনে কারচুপি এবং প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের জন্য তাঁরা বেলারুশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন। বেলারুশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তাছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তিনি বলেছেন, বেলারুশের লোকেদের গণতান্ত্রিক অধিকার দিতে হবে। তাঁরা নিজেদের নেতা নির্বাচন করবেন। তাঁরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ স্থির করবেন। 

লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৬ সালেও ইইউ আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন, ''ইইউ ৫ কোটি ৩০ লাখ ইউরো সে দেশের সিভিল সোসাইটিকে দেবে। যাতে তারা সরকারি নিপীড়নের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে পারে। এই অর্থ আগে করোনার মোকাবিলা করার জন্য সরকারকে দেয়ার কথা ছিল।''

বেলারুশের মিডিয়া জানিয়েছে, বুধবার তৃতীয় বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষোভ দেখানোর সময় তিনি মারা যান।

মধ্যস্থতা নয়

সাংবাদিকদের ম্যার্কেল বলেছেন, তিনি  লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ফোনে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু লুকাশেঙ্কো তা গ্রহণ করেননি।  ম্যার্কেল জানিয়েছেন, ''সব পক্ষ রাজি হলে তবেই মধ্যস্থতা করা যায়। লুকাশেঙ্কো আমার প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।''

বৈঠকের আগে লুকাশেঙ্কোর প্রধান বিরোধী নেত্রী শ্বেতলানা অনুরোধ করেছিলেন, ইইউ যেন কারচুপির ভোট স্বীকার না করে। ইইউ-ও জানিয়েছে, তারা ওই ভোটের ফল মানে না। 

জিএইচ/এসজি(এএফপি, ডিপিএ)