1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজআফ্রিকা

বেনিনে প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ

৬ অক্টোবর ২০২১

শুধু শিল্পোন্নত বিশ্ব নয় আফ্রিকার মতো মহাদেশেও প্লাস্টিক বড় সমস্যা৷ স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে ও সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে একজন অ্যাক্টিভিস্ট অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন৷

https://p.dw.com/p/41JvD
More than just bags in Rwanda
ছবি: DW

সান্ড্রা ইডোসু পরিবেশ সংরক্ষণের ব্রত গ্রহণ করেছেন৷ তিনি বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে সেই লক্ষ্যে প্রচার চালান৷ তিনি মনে করেন, শিশুরা পরিবর্তনের প্রকৃত ‘চালিকা শক্তি'৷ সমাজ, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের মধ্যে শিশুরাই পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা ছড়িয়ে দেবে৷ তাঁর মতে, পরিবেশের উন্নয়নের স্বার্থে স্থানীয় স্তরে উৎপাদিত পণ্য কেনা উচিত৷ তাহলে কার্বন নির্গমন কমবে৷ তিনি পাহু কপোভি গ্রামে এসে প্রচার চালিয়েছেন৷

বেনিনে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করতে একটি আইন রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও সেখানে প্রায়ই প্লাস্টিক ব্যাগে খাবার বিক্রি করা হয়৷ শিশুরা এমনটা দেখেই বড় হয়েছে৷ কিন্তু ইডুসু তাদের বুঝিয়ে বলছেন, যে এই ব্যাগ তৈরি করতে অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম ব্যবহার করা হয়, পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য যা ক্ষতিকর৷

‘সাশে এলুয়ে' বা ‘ব্লাস্টেড ব্যাগ' নামের অভিযানের মাধ্যমে সে কথা মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ স্কুল পড়ুয়া হিসেবে দেও-গ্রাসিয়াস ক্লেপকে বলে, ‘‘আমাদের প্লাস্টিক ব্যাগ এড়িয়ে চলা উচিত৷ কিন্তু একান্ত ব্যবহার করতে হলে ‘ব্লাস্টেড ব্যাগ' কথাটা বলতে হবে৷ তবে ব্যবহার না করলেই ভালো, কারণ সেটি অনেক রোগের কারণ৷''

বেনিনে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ

ইডোসু একদল স্বেচ্ছাসেবীকে কোটোনু শহরে ‘ইকো রান' দৌড়ের প্রস্তুতিতে সাহায্য করছেন৷ দৌড়ানোর পথে যত বেশি সম্ভব প্লাস্টিক জঞ্জাল সংগ্রহ করাই হলো লক্ষ্য৷ বেনিনে এখনো পর্যন্ত আয়োজিত ২০টি এমন দৌড়ে কয়েক'শো মানুষ অংশ নিয়েছেন৷ তাঁরা অভিযানের সময়ে অন্য মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন৷ সবাই বিষয়টি ভালোভাবেই গ্রহণ করছে৷ ইকো রানের অংশগ্রহণকারী হিসেবে কারিনা মেমেভেনি দা সিলভা মনে করেন, ‘‘আমার মতে, এটা দারুণ এক উদ্যোগ৷ শহরের প্রতি এটা আমাদের একটা অবদান৷ দেখাতে চাই যে কোটোনু আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ৷''

তিন বছর আগে ইডোসু ‘সোশাল এনগেজমেন্ট অ্যাকশন' নামের এক সংগঠন গড়ে তোলেন৷ জঞ্জাল সাফাই ইভেন্টের পাশাপাশি তারা প্লাস্টিক ব্যাগের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন সংসদে অনুমোদন করাতে পেরেছে৷ সান্ড্রা ইডোসু বলেন, ‘‘সেই আইন অনুমোদনের পর আমাদের সমাজের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে৷ মানুষকে বোঝাতে হবে, এমন ব্যাগ কেন তাদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক৷ এই আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে তাদেরও শক্তি প্রয়োগ করতে হবে৷''

অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে তিনি কোনো বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দক্ষ৷ সেইসঙ্গে সান্ড্রা একজন সফল ব্যবসায়ী৷ বিশেষ করে মার্কেটিং বা বিপননের ক্ষেত্রে তিনি বিশেষজ্ঞ৷ রিসাইক্লিং শিল্পী ও স্থানীয় হস্তশিল্পীদের তৈরি পণ্য বিক্রি করার জন্য তাঁর একটি দোকানও রয়েছে৷ সান্ড্রা ইডোসু বলেন, ‘‘এখানে আমরা রাফিয়া নামের হাতে বোনা কাপড়, স্থানীয় কাঠ, কড়ি ইত্যাদি দিয়ে পণ্য ও শিল্প তৈরির ক্ষেত্রে পারদর্শী৷ হস্তশিল্প পণ্য সাধারণত পরিবেশবান্ধব হয়৷ প্রকৃতির কোলে পাওয়া উপকরণের রূপান্তর ঘটিয়ে সেগুলিকে আমরা দ্বিতীয় জীবন দেই৷ ‘আফ্রিকার রং' নামের এই দোকান শুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের লক্ষ্যে সংগ্রামের অংশমাত্র৷ আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় সব কিছু আছে৷ সেটা করা অবশ্যই সম্ভব৷''

সান্ড্রা ইডোসু নিজের মিশনের কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন৷ বেনিনকে আরও পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর করে তোলাই তাঁর প্রায় সব কাজের লক্ষ্য৷

মিলকে/গানকিন/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য