1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেত্রাঘাত এবং জেলের শাস্তি ইরানের মানবাধিকারকর্মীর

২৮ মে ২০২১

ইরানের এক মানবাধিকারকর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ঘোষণা হয়েছে। সরব আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি।

https://p.dw.com/p/3u5FP
ইরান
ছবি: Morteza Nikoubazl/NurPhoto/picture-alliance

তার দোষ, তিনি মানবাধিকার সংগঠন তৈরি করেছেন। দেশে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে সরব। তাই শাস্তি ঘোষণা হয়েছে। ৮০টি বেত্রাঘাত, ৩০ মাসের জেল এবং দুইটি জরিমানা। ইরানের মানবাধিকারকর্মী নারগেস মোহাম্মদীর এই শাস্তি নিয়ে সরব হয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন।

৪৯ বছরের নারগেস শুধু মানবাধিকারকর্মী নন। তিনি ইঞ্জিনিয়ার, পদার্থবিজ্ঞানের গবেষক। তার দুই সন্তান আছে। নোবেল পুরষ্কারপ্রাপক শিরিন এবাদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শিরিনও মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন। এখন তিনি জেলে। নারগেসও ২০২০ সালে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। দেশের বিরুদ্ধে বহির্বিশ্বে তিনি প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন, দেশ বিরোধী কাজ করছেন, এমন সব অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১০ বছরের জেল হেফাজতের শাস্তি হয়েছিল। তবে আট বছরের মাথায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ বার ফের তার বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান দেয়া হয়েছে।

নারগেস এ বিষয়ে ডিডাব্লিউকে কিছু না জানালেও, তার আইনজীবী খবরটির সত্যতা স্বীকার করেছেন। ২০২০ সালে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে নারগেস ডিডাব্লিউকে বলেছিলেন, তাকে গ্রেপ্তার করে এবং শাস্তি দিয়ে দেশের মানুষের কাছে একটি বার্তা পৌঁছাতে চাইছে ইরানের প্রশাসন। প্রতিবাদ করলেই জেলে যেতে হবে।

নারগেসের শাস্তি ঘোষণা হওয়ার পরেই তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার। অবিলম্বে নারগেসের উপর থেকে সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই দাবি করেছে। ইরান সরকারের কাছে তাদের দাবি, নারগেসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি পুনর্বিবেচনা করা হোক। এবারও দেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)