বেজোস, ব্র্যানসন, মাস্ক: মহাকাশে কে জিতছেন?
অ্যামাজনের জেফ বেজোস, ভার্জিনের রিচার্ড ব্র্যানসন ও টেসলার ইলন মাস্ক মহাকাশে পর্যটন ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন৷ এ লক্ষ্যে তারা কতদূর এগোলেন তা জানা যাবে এই ছবিঘরে৷
নিউ শেপার্ড
এটি অ্যামাজনের জেফ বেজোসের ‘ব্লু অরিজিন’ কোম্পানির বাহন ‘নিউ শেপার্ড’৷ এতে করে আগামী ২০ জুলাই অরবিটে ঘুরে আসবেন বেজোস, তার ভাই মার্ক ও আরেকজন৷ অনলাইনে নিলামের মাধ্যমে টিকিট পেয়েছেন ঐ ব্যক্তি, যার নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি৷ টিকিটের দাম পড়েছে ২৩৮ কোটি টাকার কিছু বেশি৷ একটি রকেট নিউ শেপার্ডকে উপরে নিয়ে ছেড়ে দিয়ে আসবে৷ এরপর নিউ শেপার্ড ক্যাপসুলটি প্যারাসুটের সহায়তায় পৃথিবীতে ফিরে আসবে৷
টিকিটের দাম
২০১৮ সালে রয়টার্স জানিয়েছিল নিউ শেপার্ডে উঠতে একজনকে কমপক্ষে এক কোটি ৭০ লাখ টাকা খরচ করতে হবে৷ রকেট থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নিউ শেপার্ড প্রায় ১০ মিনিট অরবিটে থাকবে৷ এসময় যাত্রীরা ওজনহীন অবস্থার অভিজ্ঞতা লাভ করবেন৷ নিউ শেপার্ডে ছয়জন যাত্রী যেতে পারবেন৷
ভিএসএস ইউনিটি
এটি রিচার্ড ব্রেনসনের ভার্জিন গ্যালাকটিকোর মহাকাশে যাওয়ার প্লেন৷ ভিএমএস ইভ নামের একটি বড় ক্যারিয়ার এয়ারক্রাফটে করে ভিএসএস ইউনিটিকে উপরে নিয়ে যাওয়া হবে৷ ভিএসএস ইউনিটি স্পেস প্লেনে ছয়জন বসতে পারবেন৷ এর মধ্যে দুজন ক্রু, বাকিরা যাত্রী৷
টিকিটের দাম
ভার্জিন গ্যালাকটিক ইতিমধ্যে ৬০০-র বেশি টিকিট বিক্রির আবেদন পেয়েছে৷ প্রতিটির দাম প্রায় দুই কোটি সাড়ে ১২ লাখ টাকা৷ ২০২২ সালে তারা বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে৷ ওড়া শুরু থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসা পর্যন্ত সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘণ্টা৷ এর মধ্যে কিছুক্ষণ ওজনহীন অবস্থার স্বাদ পাবেন যাত্রীরা৷ টিকিটের দাম ক্রমান্বয়ে ৩৪ লাখ টাকায় কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে ভার্জিন৷
স্পেসএক্স ড্রাগন
এটি টেসলার ইলন মাস্কের মহাকাশ যান৷ ইতিমধ্যে নাসার নভচারীরা এটিতে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র আইএসএস-এ গেছেন৷ তবে এই সেপ্টেম্বরে ড্রাগনে চড়ে চার ব্যক্তির মহাকাশে যাওয়ার কথা রয়েছে যাদের কেউ পেশাদার নভচারী নন৷ তারা মহাকাশে তিনদিন থাকবেন৷ আইএসএস-এর চেয়ে বেশি উঁচুতে তারা যাবেন বলে জানা গেছে৷ বিলিওনেয়ার উদ্যোক্তা ও জেট পাইলট জারেড আইজ্যাকম্যান এই চারজনের টিকিট কেটেছেন৷
চাঁদের কাছাকাছি
স্পেসএক্স ড্রাগনে সর্বোচ্চ সাতজন বসতে পারবেন৷ স্পেসএক্সের একেকটি মিশন তিন থেকে চারদিনের হতে পারে৷ ইলন মাস্ক সম্প্রতি জানিয়েছেন, তারা স্টারশিপ নামে একটি রকেটের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছেন যেটিত করে ২০২৩ সালে জাপানি বিলিওনেয়ার ইয়ুসাকু মেজাওয়াকে চাঁদের কাছাকাছি ঘুরিয়ে আনা হবে৷