1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেইজিংয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিকর্মী জশুয়া ওয়ং এর সঙ্গে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাসের বৈঠকের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং, চীনে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে তারা৷

https://p.dw.com/p/3PSPd
China - Deutsche Botschaft in Peking
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen

বার্লিনে চীনের রাষ্ট্রদূত উ কেন এবং জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেইজিংয়ে তাদের রাষ্ট্রদূতকে আনুষ্ঠানিকভাবে তলবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷

চীনে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত গত বুধবার বলেন, সম্প্রতি জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিকর্মী জশুয়া ওয়ং এর সঙ্গে বৈঠকে অত্যন্ত নেতিবাচক সংকেত পাঠানো হয়েছে৷ এরপর বেইজিং বলছে, হংকং নিয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের যথেষ্ট প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে৷

জশুয়া ওয়াংএর সঙ্গে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে উ কেন বলেন, ‘‘আমি দুর্ভাগ্যক্রমে বলতে চাই, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং চীনকে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে৷''

হংকংয়ে চলমান বিক্ষোভে বিদেশি বাহিনী জড়িত ছিল বলে দাবি করেন উ কেন৷ বিদেশি রাজনীতিবিদদের এ থেকে সরে আসারও আহ্বান জানিয়েছিল তিনি৷ উ বলেছিলেন, চীনের সার্বভৌমত্ব ও সুরক্ষার বিষয়টিকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে৷ তাই আমি রাজনীতিবিদদেরকে সহিংস অপরাধ আড়াল করা এবং হংকংয়ের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার পরামর্শ দিচ্ছি, কারণ এটি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷

জশুয়া ওয়ংকে জার্মানিতে প্রবেশ না করাতে বেইজিং বারবার বার্লিনকে বলে আসছিল বলে জানান উ৷ এরপরেও সম্প্রতি ওয়ংকের সঙ্গে বৈঠক করেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

হংকংয়ের কোনো বাসিন্দা চীনে গিয়ে অপরাধ করলে তাঁর বিচারের জন্য ওই ব্যক্তিকে চীনে পাঠানো যাবে, এমন একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছিল৷ সেই বিল বাতিলের দাবিতে গত কয়েক মাস ধরে হংকংয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে৷ মাঝেমধ্যে এই বিক্ষোভ সহিংসতায়ও রূপ নিচ্ছে৷

এই অবস্থায় হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম প্রত্যর্পণ বিলটি স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে সেটিকে ‘মৃত' বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন৷ পরে ল্যাম এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘‘জনগণের উদ্বেগ প্রশমন করতে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহার করে নেবে৷''

১৯৯৭ সালে ব্রিটিশদের থেকে চীনের কাছে হস্তান্তরের পর হংকংয়ের ইতিহাসে গত কয়েক মাস ধরে চলা এই প্রতিবাদকে সবচেয়ে বড় আন্দোলন বলা হচ্ছে৷

চীনের কাছে হস্তান্তরের সময় যুক্তরাজ্য শহরটির স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থা অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিল৷ হংকংয়ের কারণেই চীনকে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থাপনার' নীতিতে চলতে হচ্ছে৷

এসআই/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য