1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বুদ্ধদেব গুহ প্রয়াত

৩০ আগস্ট ২০২১

৮৫ বছর বয়সে চলে গেলেন বুদ্ধদেব গুহ। করোনা পরবর্তী অসুস্থতার ধাক্কা সমলাতে পারলেন না।

https://p.dw.com/p/3zeoR
প্রয়াত বুদ্ধদেব গুহ(মাঝখানে, চেয়ারে বসে)। ছবি: DW/S. Bandopadhyay

৩৩ দিন লড়াই করে করোনাকে হারাতে পেরেছিলেন বুদ্ধদেব গুহ। কিন্তু করোনা পরবর্তী অসুস্থতাকে পারলেন না। এবার আর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা হলো না তার।

তার মূত্রনালীতে সংক্রমণ হয়েছিল। লিভার ও কিডনিতেও সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। রোববার বেলভিউ হাসপাতালে রাত এগারোটা নাগাদ তার মৃত্যু হয়।

বুদ্ধদেব গুহ ছিলেন অন্য ধারার সাহিত্যিক। জঙ্গলকে তিনি চিনিয়েছেন প্রেমিকের চোখ দিয়ে। উপহার দিয়েছেন একের পর এক অসাধারণ লেখা। জঙ্গল, তার রোম্যান্টিকতা, রহস্যময়তা, পশু, মানুষ, প্রেম, অপ্রেম, বিশ্বাস, অবিশ্বাস অনায়াস সাবলীলতায় ফুটিয়েছেন 'জঙ্গলমহল', 'কোজাগর' থেকে শুরু করে অজস্র বইয়ে। তার 'একটু উষ্ণতার জন্য' একসময় যুবমহলে আলোড়ন তুলেছিল।

আর বাঙালি বাচ্চাদের বড় হয়ে ওঠার সঙ্গী ছিল ঋজুদা ও তার সঙ্গী রিভু। বাংলা সাহিত্যের দাদাদের মধ্যে (ফেলুদা, টেনিদা, ঘনাদা) ঋজুদা স্বতন্ত্র। তার বিচরণের ক্ষেত্রও আলাদা। স্বদেশ ও বিদেশের বন-জঙ্গল। তার স্বভাবজ দৃঢ়তা, তার বুদ্ধি, তার মরমী মন অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয়তা এবং হার না মানার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাকে একেবারে আলাদা করে দিয়েছে অন্যদের থেকে। তার স্রষ্টা বুদ্ধদেবকেও।

নিজের পেশায় অত্যন্ত সফল বুদ্ধদেব লিখেছেন, গান গেয়েছেন, ছবি এঁকেছেন, অর্থাৎ তার প্রতিভার চিহ্ন ছড়িয়ে আছে নানাদিকে। তবে তার সব চেয়ে বড় পরিচয়, তিনি ছিলেন আদ্যন্ত রোম্যান্টিক জঙ্গলপ্রেমিক। আর বাঙালি পাঠকের সঙ্গেও পরিচয় করে দিয়েছিলেন জঙ্গল ও তার রোম্যান্টিকতাকে। তবে তিনি কোনো চেনা ছকে বদ্ধ হতে চাননি। নানা ধরনের লেখা লিখেছেন। তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাকে নতুন দিগন্তের সন্ধান দিয়েছেন। তাই তিনি থেকে যাবেন পাঠকের স্মৃতিতে।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই)