1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিস্ময়কর ওয়াকিং ফিশ

৬ জানুয়ারি ২০২০

বিস্ময়কর হলেও অ্যাক্সোলটল বা ওয়াকিং ফিশ অঙ্গ হারালে তা আবার গজায়৷ একে জীববিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, ‘রিজেনারেশন'৷ কিন্তু কেমন করে করে তারা? এ নিয়ে গবেষণা করছেন ভিয়েনার এক দল বিজ্ঞানী৷

https://p.dw.com/p/3VlgE
DW Projekt Zukunft | Lernen vom Lurch
ছবি: SWR

অ্যাক্সোলোটল বা ওয়াকিং ফিশ৷ গবেষণার কাজে এমন এক হাজার আটশটি আছে ভিয়েনা মলিকিউলার প্যাথলজি রিসার্চ ইনস্টিটিউটে৷ এখানে রিজেনারেশন বায়োলজি নিয়ে গবেষণা হয়৷

আর ক্যাথরিনা লাস্টের মতো বিজ্ঞানীরা এই উভচর সরিসৃপদের আলাদা বিশেষত্ব নিয়ে কাজ করছেন৷ এটা হারানো অঙ্গ নতুন করে জন্মাতে পারে৷

অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে এদের কোনো অঙ্গ, যেমন পা আলাদা করে ফেলা হলে, পায়ের অবশিষ্টাংশ থেকে সেই পা আবার জন্মায়৷

যেমন এই অ্যাক্সোলোটলটির বাম পা স্বাভাবিক৷ তবে ডান পা ছোট৷ এই পা-টির পুনর্জন্ম হচ্ছে৷ ফাইব্রোব্লাস্ট নামের বিশেষ ধরনের একটি কোষ এই পুনর্বৃদ্ধির কারণ৷ অ্যাক্সোলোটলটির ভেতরে কী ঘটছে তা ল্যাবের ভেতর দেখার চেষ্টা করছেন গবেষক ক্যাথরিনা লাস্ট৷ 

তিনি বলেন, ‘‘এখানে আমরা সব ফাইব্রোব্লাস্ট ও সংযোগকারী কোষগুলোকে লাল দেখতে পাচ্ছি৷ ইনজুরি আক্রান্ত হলে ফাইব্রোব্লাস্ট কোষগুলো প্রোজেনিটর কোষে পরিণত হতে পারে, যা বাকি সব কোষকে ধংস করে দেয় এবং হাড়ের কোষ তৈরি করে৷''

প্রোজেনিটর কোষগুলো স্টেম কোষের মত অলরাউন্ডার৷ তারা শুধু নতুন কোষগুলোকেই ধংস করে৷ এর ফলে আক্রান্ত অঙ্গগুলোর পুনর্বৃদ্ধি ঘটে৷

যদি মেরুদন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অ্যাক্সোলোটল তার লেজ বা পেছনের পা নাড়াতে পারে না৷ অতিবেগুনী আলোতে ইনজুরিটি একটি ফাঁকা জায়গার মতো দেখা যায়৷

লাস্ট বলেন, ‘‘তাই মেরুদন্ডের আঘাতটি প্রাণিটিকে অচেতন করেই করা হয়৷ তিনটি উপায়ে করা হয়ে থাকে৷ এক, লেজের একটু অংশ আলাদা করে ফেলা হয়৷ দুই, মেরুদণ্ডের মাঝে একটি অংশ কেটে ফেলা যেতে পারে কিংবা তিন, তুলনামূলক নতুন পদ্ধতিটি হলো, মানুষের শরীরে যেমন আঘাত লাগে তেমন আঘাত করা৷''

মেরুদন্ডের আঘাতের কারণে আজীবন শরীরের নিম্নাংশ অকেজো হয়ে যেতে পারে৷ কারণ টিস্যু আঘাত পেলে ক্ষত তৈরি হয়৷ এই ক্ষত তন্তুগুলোকে নতুন পেশি তৈরিতে বাধা দেয়৷ এর ফলে মস্তিষ্ক পেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না৷ তবে অ্যাক্সোলোটলের ক্ষেত্রে মেরুদন্ডের ক্ষত সেরে যাবে এবং নতুন টিস্যু তৈরি হয়৷

জীববিজ্ঞানী লাস্ট বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি, মানুষের মেরুদন্ডে যেসব টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অ্যাক্সোলোটলে তা হয় না৷ বরং নতুন নিউরন তৈরি করে৷ আর যেহেতু সে অর্থে কোনো ক্ষতই তৈরি হলো না, স্নায়ুকর্ডগুলো ইনজুরি আক্রান্ত জায়গা ছাপিয়ে বেড়ে ওঠে এবং মেরুদণ্ডকে ফের সচল করে৷ ফলে প্রাণিগুলো আবারো চলাচল করতে পারে৷''

এখন প্রশ্ন হলো, এই সরিসৃপগুলো এতটা বিশেষ কেন? অবশ্য জীববিজ্ঞান এখনো এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি৷

ডরোটে রেঙেলিং/জেডএ