বিস্ফোরণের পর বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে বৈরুত
বিস্ফোরণে অন্তত ১৫৮ জনের মৃত্যুর পরও আগুন নেভেনি বৈরুতে৷ বরং নতুন করে জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন৷ সরকারের পদত্যাদের দাবিতে সংঘর্ষ, অ্গ্নি সংযোগ চালিয়েই যাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা৷দেখুন ছবিঘরে...
চাপের মুখে সরকার
করোনা সংকটের সময় অর্থনৈতিক সংকটও প্রকট হয়ে উঠেছে লেবাননে৷ সে কারণে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে সরকারকে৷ উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগে সরকারের পদত্য্যাগের দাবি৷গত সোমবার সরকারের ব্যর্থতা মেনে এবং তাতে নিজের দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসিফ হিতিতি৷
বৈরুতে বিস্ফোরণ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাসিফ হিতিতির পদত্যাগের পরের দিনই বৈরুত বন্দরের কাছের এক গুদামে রাখা রাসায়নিক বিস্ফোরিত হয়৷ বিস্ফোরণে অন্তত ১৫৮ জন নিহত এবং ছয় হাজারেরও বেশি আহত হয়, গৃহহীন হয় প্রায় তিন লাখ মানুষ৷
বিক্ষোভে বিস্ফোরণের আগুন
একটি গুদামে দুই হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল৷ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ওই রাসায়নিক বিস্ফোরণের কারণে নতুন করে বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে লেবানন৷সপ্তাহান্তে বিক্ষোভের তীব্রতা বেড়ে যায়৷
নতুন নির্বাচনের দাবি
লেবাননের জনগণের বড় একটা অংশ মনে করে বৈরুতের বিস্ফোরণের জন্য দুর্নীতি এবং সরকারের সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতাই দায়ী৷এ কারণে সরকারের পদত্যাগ এবং নতুন নির্বাচন দাবি করে তারা৷
আরো দু্ই মন্ত্রীর পদত্যাগ
বৈরুত বিস্ফোরণে সরকারের দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে রোববার তথ্যমন্ত্রী মানাল আব্দেল সামাদ পদত্যাগ করেন৷ একইভাবে পরিবেশ মন্ত্রীও দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান৷
তবু বিক্ষোভ
বৈরুতের বিস্ফোরণের পর দু’ দু’জন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেও তাতে বিক্ষোভে ভাটা পড়েনি৷ রোববার সংসদ ভবনের দিকে যেতে না দেয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে যান বিক্ষোভকারীরা৷ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে৷
সরকারি ভবনে আগুন
বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু সরকারি ভবনে প্রবেশ করে ভাংচুর করেন এবং কয়েকটি ভবনে আগুন লাগিয়ে দেন৷
লেবাননকে ফ্রান্সের অধীনে নেয়ার দাবি
১৯২০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত লেবানন ফ্রান্সের অধীনে ছিল৷ বৈরুতে বিস্ফোরণের পর কমিউনিটি পিটিশন ওয়েবসাইট avaaz.com-এ আবার ‘লেবাননকে ১০ বছরের জন্য ফ্রান্সের অধীনে’ নেয়ার আবেদন জানানো হয়৷ ক্ষমতাসীনরা দেশ পরিচালনায় পুরোপুরি ব্যর্থ দাবি করে সেখানে বলা হয়, ‘‘সুষ্ঠু পরিচালনা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করতে লেবাননের ফ্রান্সের অধীনে যাওয়া উচিত৷’’ প্রথম দু‘দিনেই সে আবেদনে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেন৷
ফ্রান্সের জনগণকে অর্থসহায়তা
বিস্ফোরণের পর প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে লেবানন সফর করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ৷ সফরের সময় দেশটির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন৷ রবিবার তার এবং জাতিসংঘের উদ্যোগে এক জরুরি ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পসহ ১৫ টি দেশের সরকার প্রধান সেখানে লেবাননের জনগণকে ২৫০ মিলিয়ন ইউরো জরুরি অর্থসহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷