বিষাক্ত বাতাসে কেমন আছে দিল্লি?
ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লীসহ উত্তর ভারতের বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে স্মগ বা ধোঁয়াটে মেঘের আস্তরণ৷ কেমন আছে দিল্লি?
গাড়ি কমছে রাস্তায়
অতিরিক্ত যানবাহনের ফলেও চাপ পড়ছে দিল্লির বাতাসের মানে, তাই পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ ‘ইভেন অড’ নিয়মে প্রায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে এসেছে শহরে দৈনিক ব্যবহৃত যানবাহনের সংখ্যা৷ তাতেও কি বদলাচ্ছে সমগ্র চিত্র?
ভরসা মুখোশেই
বাতাসে বেড়েছে পার্টিকুলেট ম্যাটার বা ক্ষতিকারক ভাসমান বস্তু, যা রক্তবাহে মিশে শরীরে বিষ ছড়ায়৷ তাই সরকারের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয়েছে মুখোশ৷ একই কাজে এগিয়ে এসেছে অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও৷ বেড়েছে ‘এয়ার পিউরিফায়ার’-এর বিক্রিও৷ কর্তৃপক্ষের সাবধানবাণী, নিতান্ত প্রয়োজন না হলে কেউ যাতে বাড়ি থেকে না বেরোয়৷
যেখান থেকে শুরু
প্রতি বছর অক্টোবর মাস নাগাদ উত্তর ভারতে পালিত হয় হিন্দু ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি, যার উদযাপনে লাখ লাখ মানুষ মাতেন নানা ধরনের বাজি পোড়ানোয়৷ এই একই সময়ে, দিল্লি ও উত্তর ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে লাগে গম ও ধানচাষের বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ পোড়ানোর ধুম৷ হেমন্তকালীন আর্দ্রতার কারণে আগুন ও দীপাবলির বাজির গ্যাস মেঘের মধ্যে আটকে থাকে৷ সৃষ্টি হয় বিষাক্ত মেঘের পুরু আস্তরণ বা ‘স্মগ’৷
অবিরত ছটপুজো
বিহারের মানুষের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ছটপূজা, যার অন্যতম অংশ সূর্যের অপেক্ষায় নদীতে তর্পণ৷ দিল্লির যমুনা নদীতে এবার দূষণের কারণে বিষাক্ত ফেনা সৃষ্টি হয়েছে৷ কিন্তু তাও দমাতে পারেনি ছট-উদযাপনে আগ্রহীদের৷ স্মগে ঘেরা আকাশে সূর্য দেখা না গেলেও, বহু নারী সেই বিষাক্ত জলে নেমেই তর্পণ করেছেন প্রাণের ঝুঁকি ভুলে৷
বিষাক্ত জলেও সেলফি?
শুধু তর্পণ নয়, বিষাক্ত জল থেকে ওঠা ফেনার সাথে খেলা করতে, সেলফি তুলতেও দেখা গেছে বহু মানুষকে৷ এরমধ্যে বেশ কয়েকটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷
তবুও থামেনি যাদের জীবন
সরকারের পরামর্শ মেনে অনেকেই ঘর ছেড়ে বেরোচ্ছেন না৷ চার দেওয়ালের ভেতরে থেকে টেলিভিশনের পর্দায় খোঁজ নিচ্ছেন বিষাক্ত দিল্লীর৷ কিন্তু বহু মানুষকে তবুও জীবিকার উদ্দেশ্যে রাস্তায় বেরোতে হচ্ছে, যাদের কাছে পৌঁছায়নি কোনো মুখোশ বা অন্যান্য প্রতিরোধ৷ তারা কীভাবে লড়বে?